নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মঞ্চে বুধবার সন্ধ্যায় ১৩তম ইলিশ উৎসবের সমাপনী দিনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান, বিদ্যুৎ জালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসাইন।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে ১৩তম ইলিশ উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, সারা বিশ্বে একটি নাম খুবই পরিচিত, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের পর একমাত্র জেলা যা সকলের পরিচিত সেটি হচ্ছে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর। আমি গর্বিত এই জেলার আমি একজন নাগরিক। তিনি বলেন, প্রতি বছর ইলিশ উৎসব শুরু হলে আমার মনটা থাকে কখন চাঁদপুরে আসবো।
তিনি বলেন, চাঁদপুরের এই ইলিশ উৎসব শুধু মা ইলিশ সংরক্ষণের সামাজিক আন্দোলনই নয়, এটি চাঁদপুরের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও নেতৃবৃন্দের একটি মিলন মেলার সৃষ্টি হয়। এতে সকলের সাথে সকলের একটি সেতু বন্ধনের সৃষ্টি করে।
তিনি ইলিশ উৎসব আয়োজকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের এই আয়োজনের জন্য আপনাদের অশেষ ধন্যবাদ কিন্তু একটি অনুষ্ঠান করতে কত কষ্ট এবং কত দিকে ম্যানেজ করতে হয় সেটা আমার জানা আছে।
তিনি ইলিশ উৎসবের আয়োজনের বিষয়ে বলেন, আপনাদের এই সামাজিক আন্দোলন একদিন সফল হবে, উৎসবের আয়োজন স্বার্থক হবে, জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়ে জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষা হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হবে এই বিশ্বাস আমার রয়েছে।
শুরুতে সকল অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বাহার, সংগঠনের সাবেক সদস্য, সদ্য ঘোষিত লবি রহমান কুকিং ফাউন্ডেশন চাঁদপুর জেলা শাখার প্রেসিডেন্ট শারমিন আক্তার জুই, জেলা কালচারাল অফিসার হায়াত মাহমুদ।
সান্ধ্যকালীন সমাপনী অনুষ্ঠান শুরুতে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কে সংগঠনের পক্ষ থেকে উওরীয় পরিয়ে দেন এবং ক্রেস্ট প্রদান করেন টানা ১৩ বছরের ইলিশ উৎসবের সফল আহবায়ক রোটা. কাজী শাহাদাত পিএইচএফ। এরপর একে একে সংগঠনের পক্ষ থেকে সকল অতিথি কে উওরীয় ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এছাড়া ৫ দিনব্যাপী ইলিশ উৎসবে যে সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো অংশগ্রহণ করে সেই সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
ইলিশ উৎসব উদযাপন কমিটির মহাসচিব হারুন আল রশীদের উপস্থাপনায় সান্দ্ব্যকালীন ও সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চতুরঙ্গ ইলিশ উৎসবে আহবায়ক রোটাঃ কাজী শাহাদাত পিএইচএফ।