নিজস্ব প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অর্ধশতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ভোর ৫টার পরে চরভৈরবী বাজারের ইসলামীয়া হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান স্থানীয়রা। এতে প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। আগুন লাগার খবর পেয়ে চাঁদপুর ও রায়পুর ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিট স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও চরভৈরবীর বাসিন্দা নজরুল ইসলাম ফকির বলেন, মুহূর্তেই পাশের সিলিন্ডার গ্যাস, পেট্রোল, ডিজেল ও সুতার দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আশেপাশের অন্তত আরও প্রায় ৫০টি ছোট-বড় দোকান আগুনে পুড়ে যায়। এ সময় অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল। এ ছাড়া যেসব দোকানে লোকজন থাকতেন, তাদের অধিকাংশ তখন নামাজে ছিলেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আনোয়ার সরদার বলেন, আগুনের সূত্রপাত হওয়া ইসলামীয়া হোটেলের পাশে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ২ কোটি টাকার মালামাল ছিল। এর মধ্যে জেলেদের জন্য পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাস সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন ধরনের সুতার জাল ছিল। সবকিছু মুহূর্তের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, আগুনের সংবাদ পেয়ে ২টি ইউনিট দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু সেখানে অনিয়মতান্ত্রিক সিলিন্ডার গ্যাস, পেট্রোল, ডিজেলের দোকান থাকায় মুহূর্তেই অর্ধশতাধিক দোকান পুড়ে যায়। অধিকাংশ দোকান কাঠ ও টিনের হওয়ায় রক্ষা করা যায়নি। এ ছাড়া দোকানগুলো নদীর পাড়ে হওয়ায় প্রচণ্ড বাতাসে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হাইমচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী বলেন, ভোরে নামাজের পরপরই আগুন লাগে। বাজারের দোকানগুলো একটির গায়ে একটি লাগানো তাই আগুনে মুহূর্তেই সব পুড়ে যায়। তাদের ভিটা-মাটি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এতে বাজারের ৭০টি দোকান মালিকের প্রায় ২০ কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে।ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ মহিউদ্দিন, হাইমচর উপজেলা চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী, নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ন কবির প্রধানীয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আহমেদ আলী মাস্টার, জেলা পরিষদের সদস্য এস এম আল মামুন সুমন, নজরুল ইসলাম ফকির।