নিজস্ব প্রতিনিধি :
চাঁদপুরে হাজীগঞ্জে জারিকৃত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করেছে। অন্যদিকে সংঘর্ষ, হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাসমূহের আড়াই হাজার আসামীর মধ্যে এ পর্যন্ত ১৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দুর্গাপূজা চলাকালে কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড়ে একটি পূজামন্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তা দেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মুসল্লীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। গত ১৩ অক্টোবর বুধবার হাজীগঞ্জ বাজারে এশার নামাজ শেষে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। সে সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, মন্দিরে হামলা, গোলাগুলি, থানায় ঘেরাওসহ আরো অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এতে এক নির্মাণশ্রমিকসহ মোট ৪জনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুইটি ও মন্দিরের পক্ষ থেকে দুইটি মোট চার মামলায় প্রায় আড়াই হাজার জনকে আসামী করা হয়। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ১৫জনকে আটক করে পুলিশ। বাকীদের আটকে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করছে থানা পুলিশসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।
এ ঘটনায় গত ১৩ অক্টোবর বুধবার রাত ১২টার দিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এরপর সেখানে পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় র্যাব, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সোমবার ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন।
এদিকে মন্দির ভাংচুর ও নিহতদের বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইফ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, জাতীয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লা চৌধুরী, চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোওয়ারী দুলাল প্রমুখ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে হাজীগঞ্জে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি এমপি।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বলেন, আহত ২১জনের মধ্যে আমাদের অনেক পুলিশ এখনো হাসপাতালে আছে। চার মামলায় হামলাকারীদের শনাক্ত করে এ পর্যন্ত ১৫জনকে আটক করা হয়েছে। আজ চাই প্রকৃত দোষীরা আইনের আওতায় আসুক।