পুলিশি হস্তক্ষেপে একজনের দাহ সম্পন্ন : অন্যজনকে মাটিতে সমাধিস্থ
জহিরুল ইসলাম জয়
হাজীগঞ্জ উপজেলার পৃথক দুটি স্থানে দুই সনাতন ধর্মাবলম্বী পরোলোকগমন করেন। শুক্রবার রাতে নিজ বাসস্থানে তারা মারা যান। কিন্তু করোনার আতঙ্কে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মৃতদের সৎকার কাজে এগিয়ে আসেনি বিকেল পর্যন্ত। এতে পরিবারবর্গ পড়ে বিপাকে। বাধ্য হয়ে তাদেরকে মাটিতে সমাধিস্থ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার দু’টি। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে একজনের দাহ সম্পন্ন হয় বিকেলে।
মৃত দু’জন হলেন হাজীগঞ্জ বাজারের স্বর্ণের ব্যবসায়ী রঞ্জীব কুমার রায় (৫৫) ও উপজেলার ৬নং বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের সেন্দ্রা গ্রামের রাধা কৃষ্ণ দাস (৬০)। এর মধ্যে হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী রঞ্জিব কুমার রায়ের মৃতদেহ হাজিগঞ্জ পৌর শ্মশানে নেয়া হলে ফেরত পাঠানো হয় সকালে। পরে বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) আফজাল হোসেনের হস্তক্ষেপে তার দাহ পৌর শ্মশানে অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যদিকে সেন্দ্রার মৃত রাধা কৃষ্ণের ছেলে রিপন বলেন, আমার বাবা শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে মারা যান। শনিবার তাকে হাসপাতালে নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাবা না ফেরার দেশে চলে যান। তার মৃত্যুর পর সৎকার কাজে কেউ এগিয়ে আসছে না। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিজের বাড়িতে মাটিতে সমাধি করবো। সন্ধ্যায় উপজেলা দাফন-কাফন টিম যেয়ে তাকে মাটিতে সমাধিস্থ করা হয়।
এ বিষয়ে একাধিকবার হাজীগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।