অনৈতিহাসিক : আগস্ট রাউন্ড-আপ

মুহম্মদ শফিকুর রহমান :
প্লান ছিল এ সপ্তাহের লেখা আগস্ট ট্রাজেডি ও পূর্বাপর ঘটনাবলীর একটা রাউন্ডআপ নির্মাণ করব। এটা দরকার। একজন সাংবাদিকের লেখা যদি সমাজ বিনির্মাণে হয় বা পরিবর্তনের স্বার্থে হয় তাহলে বা সাংবাদিক যদি সমাজের কাছে দায়বদ্ধতায় বিশ্বাস করে তবে অতীতটাকে যেমন সামনে আনতে হবে তেমনি বর্তমানকে ভিত্তি করে ভবিষ্যতের সঠিক পথ দেখাবার দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রতি এক দশকে একটি করে প্রজন্ম তৈরি হয় এবং একটি প্রজন্ম তার আগের প্রজন্ম সম্পর্কে স্বাভাবিকভাবেই বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেনা। এখানেই প্রশ্ন হল প্রজন্ম যদি শিক্ষিত সভ্য না হয় তবে অসভ্য সমাজ গড়ে ওঠে। আর কিছু লোকতো থাকেই অসভ্য সমাজ গড়ার জন্য অপচেষ্টা চালায়। কাজেই আমার প্লানিং এর কিছুটা পরিবর্তন করছি।

সমাজে কিছু কিছু পলিটিক্যাল আদব-কায়দাহীন অসভ্য মানুষ থাকে যাদের নাম নেয়াটা শোভনীয় নয়, কখনো কখনো এ মানুষেরা এমন সব কথা বলে যা দুর্গন্ধময় এবং তখন গরম পানিতে লাক্স সাবান দিয়ে তাদের মুখ ধুয়ে দেয়া ছাড়া বিকল্প থাকে না। এ জাতের মানুষের প্রতিকৃতি রুহুল কবির রিজভী, তারেক রহমান, মির্জা ফখরুল, খালেদা জিয়া। এদের মধ্যে প্রথমটির মুখে বেশি দুর্গন্ধ। কখনো কখনো এমন সব কথা বলে যা সমাজে অসহনীয় দুর্গন্ধ ছড়ায়। তখন আর লাক্স সাবান এ কুলোয়না, গরম পানিতে আলমের পচা সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে দিতে হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার জীবন মরণ সহধর্মিণী বেগম শেখ ফজিলাতুন্নিসা মুজিবের গোটা পরিবারকে হত্যা করা হলো ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। তাদের টার্গেট অনেকটা সফল হয়েছিল। কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৩জন নেতা-কর্মী ঘটনাস্থলে নিহত এবং চার শতাধিক গ্রেনেডের ইসপ্লিন্টার বিদ্ধ হন। আল্লাহর অশেষ কৃপায় শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও তার এক কানের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখনো চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ হানিফ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ইসপ্লিন্টার-এর যন্ত্রণা সয়ে সয়ে ইন্তেকাল করেন। ওবায়দুল কাদের জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ অনেকেই আজও ইসপ্লিন্টার বয়ে চলেছেন। বহু নারীও অসহ্য যন্ত্রণা সয়ে বেঁচে আছেন।
এই যে এতগুলো বীভৎস অমানবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গেল খালেদা জিয়া বা মির্জা ফখরুল একবার ইন্নালিল্লাহি পর্যন্ত পড়েনি। নামের দিক থেকে এরা মুসলমান পর্যায়ে পড়ে। ইন্নালিল্লাহি পড়বে কি বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে মিলিটারি জিয়া জড়িত এবং একুশে আগস্ট ঘটিয়েছে খালেদা জিয়া ও জিয়া খালেদার ছেলে তারেক রহমান। ওরাতো বরং বাহবা দিয়েছিল। গুলি চালানো খুনিদের জন্য ইমডেমনিটি দিয়ে পুরস্কৃত করা, বিদেশের দূতাবাসে বড় বড় চাকরি দেয়া, মিলিটারি দিয়ে জাল ভোটের নির্বাচন করিয়ে খুনিদের পার্লামেন্টে বসানো, গ্রেনেড হামলার জন্য তারেকের হাওয়া ভবন তথা খাওয়া ভবনে বসে পরিকল্পনা করে হামলা করানো, দেশের ৬৩ জেলায় ৫০০ স্থানে একযোগে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ওদের জড়িত থাকার কথা বলে নয়কি? কাজেই ওরা ইন্নালিল্লাহ পড়বে কি বা ঘৃনা করবে কি?
অবশ্য এদের কাছে আশা করাটাও বোকামি বরং টিট ফর ট্যাট পদ্ধতিতে ডিল করা উচিত। এরাতো স্বাধীনতার পূর্বেকার ২৩ বছর ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ চেনেনা, কোন অবদানও নেই। তাইতো একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বর্বর মিলিটারিরা ৫ লক্ষাধিক নারী ধর্ষণ করলো, অনেককে ধর্ষণ করে মেরে ফেলল, গণহত্যা চালিয়ে ৩০ লাখ বাঙালি হত্যা করল, এত বড় গণহত্যা নারী ধর্ষণেরও নিন্দা করেনি জিয়া খালেদা। ঐ মানবতাবিরোধী জঘন্য হত্যাকান্ডেরও নিন্দা পর্যন্ত করেনি। খালেদা একজন নারী হয়ে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি। থ্যাংকস গড যে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের মতো বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী বিচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পার্লামেন্টে খালেদা ক্ষমতায় থাকাকালে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করেনি বা আনন্দ মিছিল বের করেনি। করবে কি পাকিস্তানি বর্বরদের গণহত্যা নারী নির্যাতনের সহযোগীরা এখনো খালেদা জিয়ার সহযোগী পরম সুহৃদ। আর খালেদার মতো অর্ধ-মূর্খ ছেলের কাছে তো ছাত্রদল-ছাত্রশিবির একই মায়ের পেটের দুই সহোদর ভাই। প্রশ্ন হল এদের বাপ মা কে? কারা? গায়ের রং কি?
প্রশ্ন হল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ৩রা নভেম্বর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট এইসব ঘটনা গুলো কেন ঘটানো হয়েছিল?
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার, মেধাবী যুব নেতা শেখ ফজলুল হক মনি, আব্দুর রব সেরনিয়ারাত, ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম এম মনসুর আলী, এইচ এম কামরুজ্জামান, ৭ই নভেম্বর জেনারেল খালেদ মোশাররফ-হুদা- হায়দার কে কেন হত্যা করা হয়েছিল বা ওইসব হত্যাকাণ্ডের মটিভ কি ছিল এইসব প্রশ্নের উত্তর খুজলে দেখা যাবে সবকটি ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। এবং প্রত্যেকটি ঘটনার পেছনে মিলিটারি জিয়া মোস্তাক এবং তাদের অনুসারী ঠাকুর চাষী, মঞ্জুর, ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম জড়িত। প্রথম দুটি প্রত্যক্ষ ভাবে পরেরগুলো পরোক্ষভাবে জড়িত। জিয়া যে জড়িত তার একটা প্রামানিক তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম চীফ অব স্টাফ জেনারেল সফিউল্লা বীর উত্তম। তিনি বলেছেন ১৫ আগস্ট ভোর ছয়টার আগে জিয়া তার বাসায় আসেন তখন তিনি ক্লিন শেভড এবং ফুল আর্মি জেনারেল এর পোশাক গায়ে। অথচ খালেদ মোশাররফ এসেছেন রাতের স্লিপিং সুট পরে। এরপর ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে কি? এইসব তথ্য গত ৪৪ বছর ধরে মানুষের মুখে মুখে। তাইতো আজ দাবি উঠেছে যারা গুলি চালিয়েছিল তাদের বিচার হয়েছে, পেছনের রাজনৈতিক শক্তি চক্রান্তকারীদের বিচার হয়নি। তাই ট্রুথ কমিশনের মত একটি সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। কারণ খুনিরা আন্ডা-বাচ্চা ফুঁটিয়ে নতুন খুনি চক্রান্তকারী সৃষ্টি করে মাঠে ছেড়ে দিচ্ছে। হলিআটিজন এর নৃশংস বর্বর নির্দয় ঘটনা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে।

আগেই বলেছি কেন তারা এইসব নরকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটালো? ঘটাতে পারল কি করে? এর জবাব হলো পাকিস্তানপন্থীদের এইসব স্বাভাবিক ঘটনা। তাদের টার্গেট ছিল এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা তাদের জন্য মর্ম জ্বালা তাই তারা চেয়েছিল ওইসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ তথা স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক শক্তিকে চিহ্নিত করে আবার পাকিস্তানের আদর্শে দেশকে ফিরিয়ে নেয়াঃ
• মিলিটারী জিয়া ক্ষমতায় এসেই মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু মিডিয়ায় নিষিদ্ধ করলেন
• মুক্তিযুদ্ধের মাঝে নাম দেয়া স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নাম স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বেতার করা হয়েছিল। জিয়া পাকিস্তানি আদলে রেডিও বাংলাদেশ নামকরন করেন
• জিয়া পি পি আর এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত যুদ্ধাপরাধী দল জামাত শিবির মুসলিম লীগ নেজামে ইসলাম ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে তাদের আবার প্রকাশ্যে রাজনীতিতে নিয়ে আসেন
• জিয়া বঙ্গবন্ধু কর্তৃক যুদ্ধাপরাধের দায়ে নাগরিকত্ব বাতিল করা গোলাম আযমসহ সকলের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেন
• জিয়া গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনে জামাতের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা করেন
• জিয়া খুনি হিসেবে যে জায়গাটিতে ধরা খেয়েছেন তা হল সকল খুনিকে বিভিন্ন দূতাবাসে শীর্ষ পদে চাকরি দিয়েছিলেন এটা নিঃসন্দেহে বঙ্গবন্ধু হত্যার পুরস্কার।
• খালেদা-তারেকও ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মুফতি হান্নান পুলিশের হাতে ধরা খাওয়ার পর স্বীকার করেছে পুরো গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা ও পরিচালনা হয় তারেক রহমানের ‘হাওয়া ভবন’ তথা ‘খাওয়া ভবন’ বসে। সেখানে তারেকের সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর (পূর্ণমন্ত্রী খালেদা জিয়া) মুফতি হান্নান মাওলানা তাজুল ইসলাম। এই তাজুল ইসলাম পাকিস্তানি আর্জেস গ্রেনেড সরবরাহ করেছিল। ঐদিন তেরোটি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। দুটি গ্রেনেড অবিস্ফোরিত থেকে গিয়েছিল। আল্লাহপাক খুনিদের চিহ্নিত করার জন্য দুটি গ্রেনেড অবিস্ফোরিত রাখেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করবেন তাই তার ট্রাকের নিচের গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হয়নি
• দ্বিতীয় উদাহরণ হল গ্রেনেড হামলার পর খুনিদের রক্ষার বা নিরাপদ রিট্রিটএর জন্য রক্ষার জন্য অগণিত টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন করে দিয়েছিল
• তৃতীয় উদাহরণ হল তখনকার খালেদা জিয়ার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা সিটি কর্পোরেশনের পানির গাড়ি এনে অতি অল্প সময়ে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে সকল রক্ত ধুয়ে পরিষ্কার করে দিয়েছিল। কাজটি এত দ্রুত করা হলো যাতে বেশি লোক আলামত দেখতে না পায়
• খালেদা জিয়ার আমলেই দশ ট্রাক অস্ত্র কক্সবাজারে ধরা পড়ে। কয়েকজন কর্মকর্তা দেশপ্রেমের তাগিদে ধরিয়ে দিয়েছিলেন
• এই খালেদা জিয়াই ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি বাজ্য তথ্য সেভেন মিস্টারের টেরোরিস্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন যাতে করে নাশকতা করতে পারে। প্রয়োজনে খালেদা-তারেক নিজামীরা তাদের ব্যবহার করতে পারে। ওই সময় উলফা নেতা অনুপ চেটিয়া বাংলাদেশ জামাই আদরে বসবাস করছিল

বস্তুত ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে এবং ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেও জিয়া মুস্তাক গং যখন দেখল শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আবার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জাতির নেতৃত্ব হাতে তুলে নিয়েছেন তখন থেকে তাকে হত্যার জন্য একে একে ২০ বার আঘাত হানা হয়। আল্লাহ পাকের অশেষ কৃপায় তিনি আজও বেঁচে আছেন এবং বর্তমান বিশ্বের অন্যতম
ক্যারিশমেটিক রাষ্ট্রনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এমনি এমনি নয় বরং বাংলাদেশকে অবাক করা উন্নয়নের সোপানে প্রতিষ্ঠা করেন। অবশ্য গত ছ’মাস থেকে বিশ্বব্যাপী কোবিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের কারণে কাজের গতি অনেকটা শ্লথ হয়েছে। এর মধ্যেও শেখ হাসিনা তার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। আল্লাহ তাকে সুস্থ দীর্ঘ জীবন দান করুন আসুন আমরা সবাই মিলে এই দোয়া করি, আমিন।

কলামের শুরুতে বলেছিলাম কিছু লোক আছে যাদের মুখে এত দুর্গন্ধ যে লাক্স সাবান দিয়ে গরম পানিতে ধুয়ে দিলেও গন্ধ যাবেনা। তাই আলমের পচা সাবান দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। সেই লোকদের একজন রুহুল কবির রিজভী। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে অচিরেই মির্জা বেচারাকে ল্যাং মেরে ঘরে পাঠিয়ে দেবার ব্যবস্থা নয় কি? গত ২৫ আগস্ট ২০২০ এর দৈনিক জনকণ্ঠ-এর ৩-এর পাতায় ৫-এর কলামে দেখলাম রিজভী বলেছেন :
• ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডির জন্য আওয়ামী লীগ নিজেরাই দায়ী এবং জড়িত। এমনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারা নিজেই জড়িত
• খালেদা জিয়া বলেছেন ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়েছিল। পাগল কাহাকে বলে এবং কত প্রকার?

বস্তুত ১৫ আগস্ট ৩ নভেম্বর ৭ই নভেম্বর ২১ আগস্ট ১৭ আগস্ট হলিআটিজন-এর ঘটনা বা দশ ট্রাক অস্ত্র, বগুড়ায় দেড় লাখ বুলেট ধরা পড়ার পর এবং শায়খ আব্দুর রহমান সিদ্দিকুর রহমানের নিসংসতা, আল্লাহর দল, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হিযবুত তাহরীর, হিজবুল মুজাহিদীন সবই একই সূত্রে গাঁথা। তারা এসবের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চাচ্ছে এইসব ইসলামী স্টেটের কাজ। আল-কায়েদা বকো হারাম এর মতো আন্তর্জাতিক টেরোরিস্ট অর্গানাইজেশন এর কাজ। এসব প্রমাণ করতে পারলে বাংলাদেশকে টেরোরিস্ট কান্ট্রির লেভেল লাগাতে পারবে। এইসব ছাগলের চিন্তা। আমাদের পুলিশ র্যা ব গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এতই তৎপর যে যেখানে তারা যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে খবর হচ্ছে এবং ধরা পড়ছে। মূলত এরা কোন টেরোরিস্ট গ্রুপে নয় এরা ইয়াবা হেরোইন ড্রাগ ট্রাফিকিং করে পয়সা কামাতে চায়। কিন্তু কোথাও দাঁড়াতে পারছেনা।

ঢাকা – ২৬ আগস্ট ২০২০
লেখক – এমপি এবং সিনিয়র সাংবাদিক
সাবেক – সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব
ই-মেইল – balisshafiq@gmail.com

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)