রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রায়েরবাগ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় সমাহিত
আতাউর রহমান সোহাগ, ঢাকা থেকে
এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের কৃতি সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল আর নেই। সোমবার দুপুর দেড়টায় রাজধানীর গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
একই দিন বাদ আসর ঢাকার মগবাজার জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রায়েরবাগ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। ইসমাইল হোসেন বেঙ্গলের মৃত্যুতে ঢাকার তার সহযোদ্ধা, সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্খী এবং তার জন্মস্থান ফরিদগঞ্জ তথা চাঁদপুরে শোকের ছায়া নেমে আসে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল কয়েকদিন ধরে গ্রিন লাইফ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার দুপুরে ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গলের বড় ছেলে ইব্রাহিম ইবনে ইসমাইল (কমল) তার পিতার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল কর্মজীবনে একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে এর সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উপদেষ্টা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইসমাইল হোসেন বেঙ্গলের রাজনৈতিক জীবন শুর করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ গঠিত প্রথম দল জনদলের মাধ্যমে। এই দলের এক নম্বর প্রতিষ্ঠাতা ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এরই মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। পরে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি দলে যোগ দেন এবং এই দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৮ সালের নির্বাচনে সাবেক চাঁদপুর-৬ (বর্তমানে চাঁদপুর-৪) এবং ঢাকা-১০ (রমনা) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পান তিনি। জাতীয় পার্টির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চীফ কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯১ সালের নির্বাচনে। পরবর্তীতে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।