চাঁদপুরের আলোচিত রফিক উল্যার খুনি অমিতের ট্রেনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা!

শাওন পাটওয়ারী :
চাঁদপুর শহরের আলোচিত রফিক উল্যাহ হত্যাকান্ডের ৪৪ ঘন্টা অতিবায়িত হওয়ার মধ্যেই সিসি ফুটেজ ও পরিহিত কাপড় দেখে মূল আসামীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তবে হত্যাকান্ডের ৩ ঘন্টা পর শনাক্তকারী খুনি চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

সোমবার দুপুরে চাঁদপুর রেলওয়ে পুলিশেরর হেফাজতে থাকা অমিতের লাশ তার মা পরিহিত কাপড় দেখে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করে।

এদিকে পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও কেয়ারটেকার মিরাজের বক্তব্য অনুযায়ী অমিতের ছবি ও পোশাক দেখে নিশ্চিত হয়েছে ওইদিন ঘটনার পর অমিতই ঘটনাস্থল থেকে তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে যায়।

অমিত পুরানবাজার দাসপাড়ার মন্দিরের পিছনে গনেশ দাসের বাড়ির গৌতম দাসের ছেলে। সে গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। খুন করার অপরাধে নিহত রফিক উল্যাহর ভাতিজা মো. মারনুছ মাহমুদ তন্ময় বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৫৩, ২৬-৯-২০২২ খ্রি.।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে রফিক উল্যাকে হত্যা করা হয়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকারী অমিতকে তড়িঘড়ি করে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে বের হতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, অমিত আল আমিন হাসপাতালের সামনে দিয়ে বের হয়ে রেল লাইন দিয়ে পাসপোর্ট অফিসের সামনে গিয়ে রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা মেঘনা এক্সপেস টেনের নিচে কাটা পড়ে।

পরদিন রেলওয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায় এবং একটি অপমৃত্যু মামলার করে। এর মধ্যে গত দু’দিন ধরে অমিতের পরিবারের সদস্যরা তাকে না পেয়ে রেলওয়ে থানায় গিয়ে তার পরিহিত পোষাক দেখে মা তার ছেলে বলে নিশ্চিত হয়।

কেয়ারটেকার মিরাজ জানান, অমিত প্রায় সময় কাকার (রফিক উল্যাহ) কাছে আসতো। হত্যার দিন অমিতকেই আমি রুমে দেখেছি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিন বলেন, সিসি ক্যামরার ফুটেজ, কেয়ারটেকার মিরাজের বক্তব্য ও পরিহিত পোষাক দেখে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে অমিত প্রকৃত খুনি। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের পর জানানো হবে।

শেয়ার করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)