চাঁদপুরের লঞ্চগুলো মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী : সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা নেই

করোনাকালে চাঁদপুর লঞ্চঘাটের চিত্র -ফাইল ফটো।

 

শরীফুল ইসলাম :
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলের নির্দেশনা থাকলেও গাদাগাদি করে যাত্রী উঠানো হচ্ছে চাঁদপুরের লঞ্চগুলোতে। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত দু’দিন ধরে এই অবস্থা চলমান।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রী চাপে ভেস্তে গেছে স্বাস্থ্যবিধি। লঞ্চে প্রবেশের সময় স্বাস্থ্যবিধি মানলেও ভেতরে গিয়ে সেই পুরনো চিত্র। ঠাসাঠাসি করে বসছে যাত্রীরা। রোববার যাত্রী আরো বেড়ে যায়।

ঢাকা থেকে চাঁদপুরে আসা ইমাম হাসান লঞ্চের ভেতরে যাত্রীর চাপে স্বাস্থ্যবিধি নেই বললেই চলে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যেমন উদাসীন, যাত্রীরাও নিয়মনীতি মানছে না। এভাবেই গাদাগাদি করে চাঁদপুর থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে চাঁদপুর আসছেন শিশু, বৃদ্ধ,ও রোগীসহ হাজারো মানুষ।

এদিকে চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের জীবাণুমুক্ত করতে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে যাত্রীদের অসচেতনতার কারণে এসব কিছুই কাজে আসছে না।
জসিম মিজি নামের এক যাত্রী বলেন, শুধু কি লঞ্চে উঠলেই নিয়ম। মিছিল মিটিং বন্ধ নেই। সরকারি সব পরীক্ষাও হচ্ছে। নিয়মটা সব স্থানে ঠিক করা দরকার।

লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার বলেন, মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রীকে লঞ্চে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। প্রতি সিটে একজন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই লঞ্চ চালাচ্ছি।
চাঁদপুর নৌ-থানার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুর লঞ্চঘাটে টিকেট বাড়ানো নিয়ে হট্টগোল ছিলো, এখন আর নেই। নিয়মের বাইরে গেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাঁদপুর নৌ-বন্দর কর্মকর্তা মো. কায়সারুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে লঞ্চঘাটে মনিটরিং করছি। কোনো যাত্রীকে মাস্ক ছাড়া লঞ্চে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। কিছু কিছু লঞ্চে গাদাগাদির কথা শুনেছি, তাদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)