চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরো ৯জনের করোনা শনাক্ত

রহিম বাদশা :
চাঁদপুরে আরো ৯জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরের ৫জন, ফরিদগঞ্জের ২জন ও হাজীগঞ্জের ২জন রয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এবং সদর উপজেলা ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আরো ২জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।

এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২১৯জন। মৃতের সংখ্যা ১৮ অপরিবর্তিত রয়েছে। চাঁদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এ জানা গেছে। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে ও সোমবার রাতে আরো ৩৪টি রিপোার্ট আসে। এর মধ্যে ৯টি করোনা পজেটিভ। বাকী ২৫টি নেগেটিভ।

সূত্র মতে, চাঁদপুরে জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ২১৯জনের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ১১৬জন, ফরিদগঞ্জে ৩৮জন, হাজীগঞ্জে ১৪জন, মতলব দক্ষিণে ১২জন, কচুয়ায় ১২জন, শাহরাস্তিতে ১২জন, মতলব উত্তরে ১০জন ও হাইমচরে ৫জন।

এছাড়া জেলায় মোট ১৮জন মৃতের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ৫জন, কচুয়ায় ৪জন, ফরিদগঞ্জে ৪জন, হাজীগঞ্জে ২জন, শাহরাস্তিতে ১জন ও মতলব উত্তরে ২জন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন চাঁদপুর প্রবাহকে জানান, সদরে নতুন করে আক্রান্তরা হলেন- চাঁদপুর সদর হাসপাতালের ১জন পুরুষ (৫৭), সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ১জন পুরুষ (৫৬), চান্দ্রা এলাকার ১জন পুরুষ (৫৫), গুণরাজদী এলাকার ১জন পুরুষ (৬৮) ও ট্রাক রোডের ১জন মহিলা (৩০)।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফ চৌধুরী চাঁদপুর প্রবাহকে জানান, নতুন আক্রান্তদের ১জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নারী স্টাফের মেয়ে (২৭) ও অন্যজন রূপসা এলাকার চরমান্দারী গ্রামের যুবক (৩০)।

হাজীগঞ্জ থেকে আমাদের প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জয় জানান, সেখানকার নতুন আক্রান্ত নতুন হলেন- বাকিলা বাজারের এক ফার্মেসী ব্যবসায়ী (৪০) ও বলাখাল এলাকার নারায়ণগঞ্জ ফেরত এক যুবক (৩৫)। তাদের উভয়ের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ এক প্রেস নোটে জানান, মঙ্গলবার চাঁদপুর থেকে আরো ৫৯টি নমুনা পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে প্রেরণকৃত নমুনার সংখ্যা দাঁড়ালো ২০৩৫টি। রিপোর্ট এসেছে ১৬৪৬টি। রিপোর্ট অপেক্ষমান ৩৮৯টি।

তিনি আরো জানান, জেলায় আক্রান্ত ২১৯জনের মধ্যে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৩জন। চিকিৎসাধীন আছেন ১৫৮জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৯৯জন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৪জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রোগীর সংখ্যা ১৫জন। এছাড়া জেলায় মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৩৬৬৩জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৬৪৪জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৯জন।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন