চাঁদপুরে করোনায়ও থেমে নেই মাদকের কেনা-বেচা ও সেবন

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ২ মাসের ১১৫ অভিযানে প্রচুর মাদক উদ্ধার

শরীফুল ইসলাম :
করোনাকালেও চাঁদপুরে থেমে নেই কারবার। বন্ধ হয়নি খুচরা পর্যায়ের কেনা-বেচা ও সেবন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যস্ত থাকার সুযোগ নিয়েছে বিক্রেতা ও সেবনকারীরা। তবে গত ২ মাস ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান কিছুটা জোরালো করেছে।

চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক একেএম দিদারুল আলম জানান, তিনি যোগদানের পর গত দুই মাসে জেলায় ১০ হাজার ১৬৯ পিস ইয়াবা, ৪ কেজি গাঁজা ও মাদক বিক্রির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, গত দুই মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ১১৫টি অভিযান পরিচালনা করে। এর মধ্যে ১৮টি মাদক মামলা দায়ের ও ১৬জন আসামি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

সর্বশেষ চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ১২নং আশরাফপুর ইউনিয়নের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মানিকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২০০ পিস ইয়াবা জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী মানিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বুধবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর মজিবুর রহমান বাদী হয়ে মালিককে প্রধান আসামী করে কচুয়া থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে মাদকের ডিলার ও সিএনজি ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য মানিক কুমিল্লা জেলায় গাঢাকা দিয়ে আছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে দায়িত্বে থাকা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক একেএম দিদারুল আলম যোগদানের পর থেকে মাদক নির্মূল করার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। সর্বশেষ পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা কচুয়া মাদক সম্রাজ্ঞী উম্মে হাবিবাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। এটাই ছিল চাঁদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সবচেয়ে বড় সফলতা।

এ বিষয়ে একেএম দিদারুল আলম বলেন, আমি ২০২০ সালের এপ্রিলের ৬ তারিখে চাঁদপুর জেলায় যোগদান করেছি। যোগদানের পর থেকে মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছি। বর্তমানে মহামারী সময়ে মাদকের অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। সর্বশেষ পাঁচ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক মাদক সম্রাজ্ঞীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন