জহিরুল ইসলাম জয় :
হাজীগঞ্জ বাজারের বিলাশবহুল ১২তলার সুপার মার্কেট কাতার-কানাডা টাওয়ারের গোডাউনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে জেনারেটরম্যান জসিম গুরুতর আহত হলে তাকে ভিআইপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর লাইনম্যান জসিম জেনারেটর চালু করতে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত ঘটলে কিউসি টাওয়ারের স্টাফরা মিলে অগ্নিনিয়ন্ত্রক গ্যাসের মাধ্যমে আগুন নিভানোর চেষ্টা চালায়। এতে গোডাউনের তার, কার্টুনসহ দেয়ালের কাঠের অংশ আগুন লাগানো অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের দল পুরাপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
তবে প্রথমে গোডাউনেরর ভিতরে কালো দোয়ার কারণে দমকল বাহিনীর লোকজন কাজ করতে বেগ পেতে হয়। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায়। ১২তলা কাতার-কানাডা টাওয়ারের নিচে আন্ডারগাউন্ডে মূলত গাড়ি পার্কিং রাখার ব্যবস্থা থাকলেও মার্কেট কর্তৃপক্ষের লোভে সেখানে ভাড়া দেয়। বর্তমান এ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে মার্কেটের ব্যবসায়ী ও আবাসিক ভাড়াটিয়াদের মধ্যে এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।
কাতার-কানাডা টাওয়ারের মালিক সুমীর লাল দত্ত বলেন, আমাদের নিজস্ব আগুন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রথম অবস্থায় ব্যবহার করেছি। পরে ফায়ার সার্ভিস আসলে পুরাপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। আমরা ফায়ার সার্ভিসের পরামর্শে নিচের বিষয়টি নিয়ে ভাবছি।
হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল স্টেশন প্রধান মো. রুবেল মিয়া বলেন, কাতার-কানাডা আন্ডাগাউন্ডের ভিতরে জেনারেটরের লাইন রাখা ঠিক হয়নি। আমরা সময় মতো উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। তবে তেমন বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে তিনি একটা বিষয় দেখে হতবাক হয়ে বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ডের ভিতরে শপিংমল দেওয়া ঠিক হয়নি।
আগুনের খবর শুনে হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন, স্থানীয় কাউন্সিলর রিটন চন্দ্রসহ বাজারের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এছাড়া বাজারের পথচারীসহ হাজার মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতেতে টাওয়ারের সামনের পরিবেশ স্বাভাবিক হয়।