চাঁদপুরে ত্রিভুজ পরকীয়ার বলি হাবিব : জড়িত ৫ আসামী আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে হাবিব হত্যার সাথে জড়িত ৫ আসামীকে আটক করা হয়েছে। ত্রিভুজ পরকীয়ার জেরে তিনি খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। বুধবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ থানা আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) সোহেল মামুন জানিয়েছেন, গত ৪ আগস্ট হাবিব নিখোঁজ হয়। ৮ আগস্ট উপজেলার চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের গুপ্তের বিল এলাকায় প্রাপ্ত লাশটি হাবিবের বলে শনাক্ত করেন তার ভাই আকরাম হোসেন বাবুল। তারপর তিনি বাদি হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তে প্রবাসী ফারুক হোসেনের স্ত্রী শিউলি আক্তারের (২০) সাথে হাবিবের পরকীয়া সম্পর্কের কথা উঠে আসে। শিউলিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে শিউলির আরও দুই পরকীয়া প্রেমিক মো. রুবেল ও সিফাতুল্লাহ রাসেলের (২৭) কথা জানতে পারে পুলিশ।

রুবেলকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল শিউলির সাথে প্রেম নিয়ে হাবিবের সাথে দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে। ৪ আগস্ট রাত ৯টায় রুবেল হাবিবকে ফোন করে গুপ্তের বিলের কাছে দেখা করতে বলে।

হাবিব রাত ১০টায় সেখানে পৌঁছালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা রুবেলের সহযোগী সাইফুল (৩৩) নাইলনের দড়ি দিয়ে হাবিবের গলা পেঁচিয়ে ধরে। এ সময় অপর দুই সহযোগী সিফাতুল্লাহ রাসেল ও পারভেজ হোসেন শ্যানন (২৬) হাবিবের হাত ধরে এবং রুবেল পা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে।

হত্যা শেষে লাশ গোপন করতে গুপ্তের বিলে ফেলে দেওয়া হয়। হত্যায় ব্যবহৃত নাইলনের দড়ি ও হাবিবের ফোনটি শিউলির বাড়ির সামনে সরকারি খালে ফেলে দেয় রুবেল। তারপর শিউলির সাথে দেখা করে হাবিবকে হত্যার কথা জানিয়ে আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে ঢাকা চলে যায় সে।

হত্যার সাথে জড়িত সাইফুল, রাসেল ও পারভেজকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা সকলেই উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

খুন হওয়া হাবিবের নামে দুটি মাদক মামলা এবং ১০টি মারামারির মামলা রয়েছে। অপরদিকে রুবেলের নামে এর আগেও একটি হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রেস কনফারেন্সে ফরিদগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল কুদ্দুস উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)