চাঁদপুরে পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ঢল : স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই!

মোরশেদ আলম :
বৈশ্বিক মহামারি করোনার মধ্যে চাঁদপুরের সফরমালী কোরবানির পশুর হাট বসেছে। দেশীয় গরু হাটে বিক্রি করতে আসা খামারিরা বলছে গরু বিক্রির এপস তারা বুঝে না, তাই হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছে হাটে। ভিড় বেশি হওয়ায় বাজারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

আর উপজেলা চেয়ারম্যান বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলছেন, সফরমালি হাটটিই অবৈধ। পাশ্ববর্তী জেলা থেকে কোরবানির পশুর নিয়ে খামারীরা সফরমালী হাটে আসায় এ বাজার ক্রেতা সমাগম বেশি হয়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল আযহা। আর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাঁদপুরে অগ্রিম পশুর হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। ঈদের পূর্ব মুহূর্তে খামারে পালিত মোটাতাজা গরু সফরমালী হাট বাজারে তুলতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।

খামারের এসব চোখ জুড়ানো পশু ক্রয় করতে চাঁদপুরের সফরমালী হাটে প্রতি সোমবার ক্রেতাদের উপস্থিতি দেখা যায় লক্ষণীয়। তবে সফরমালীর এ পশুর হাটটি প্রায় তিন দশক পুরোনো হাট। এই হাটটিতে সারা বছর প্রতি সপ্তাহের সোমবার গরুর হাট বসে।

করোনা কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ঈদকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও জীবাণুনাশক টানের বসিয়ে এ হাট বসানো অনুমতি পেয়ে হাটটি শুরু করে বাজার কমিটি। তারা ক্রেতা-বিক্রেতাদের ফ্রি মাক্স দিয়ে ও জীবাণুনাশক করে এবার হাট পরিচালনা করছে। কিন্তু লোকজন ঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার করছে না। মানছে না সামাজিক দূরত্ব।

এ হাটে চাঁদপুর ছাড়াও পাশ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে বেপারীরা গরু ক্রয়-বিক্রয় করতে আসে। তবে কোরবানিকে সামনে রেখে আরো জমে উঠেছে এ পশুর হাটটি। তবে এবার কোরবানীর পশু আমদানি এবং দাম নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন ক্রেতারা।

গরু ব্যবসায়ীরা জানায়, সরকার এপস এর মাধ্যেমে গরু বিক্রি করবে। তারা এপস বুঝে না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে গরু বিক্রি করতে এসেছে। তবে গরুতে লোকসান গুণতে হচ্ছে।

ব্যবস্থা কমিটির সদস্য আজাদ খান বলেন, কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ফ্রি মাক্স দেয়াসহ জীবাণুনাশক টানেল বসিয়ে জীবাণুমুক্ত করে বাজার পারিচালনা করছে। করোনাকালে এ ব্যবস্থা রেখেই হাট পরিচালনা করবে তারা।

বাজার ব্যবস্থা কমিটির পরিচালক আব্দুল আজিজ খাঁন দুদু বলেন, হাটের ইজারার টাকায় ৯টি এতিম খানা, ৬৪ মসজিদের ইমামদের অর্ধেক বেতন ও দুস্থ অসহায়দের সেবায় খরচ করে থাকি।

চাঁদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান বলেন, আমাদের সদর উপজেলায় অনুমোদিত গরুর বাজার আছে ২৪টি। ইতিমধ্যে অস্থায়ীভাবে কোরবানি উপলক্ষে ইজারার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার বিষ্ণুপুরে সফরমালী বাজার আছে, যেটা প্রতি সোমবার বাজার বসে।

এই বাজারে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যক্তি পর্যায়ে টোল আদায় করতেছে। গত ৩০ বছর যাবৎ সরকার কোন ইজারা দেয় নাই। এখানে হাজার হাজার গুরু আসে বিক্রি হয় টোল আদায় হয়।

এ ব্যাপারে জেলা প্রসাশক, জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয়েছে ব্যক্তি পর্যায়ে কোন টোল আদায় অধিকার নাই। প্রতিপক্ষ বলছে তাদের কি মামলা আছে। আমার জানা মতে, টোল আদায় সংক্রান্ত কোন মামলা নাই। মামলা থাকলে তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থাকতে পারে।

আমি মনে করি, কোন ব্যক্তি দীর্ঘ সময়ে কোন টোল আদায়ের কোন অধিকার সে রাখে না। কোরবানি ঈদ উপলক্ষে এই হাটটি না বসে। এক তো করোনা ভীতি, দ্বিতীয়ত অবৈধ বাজারে এতগুলো গরু বেচাকিনা না হয় আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)