চাঁদপুরে পুকুরে বিলীন হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা

নিজস্ব প্রতিনিধি :
এলজিইডির আওতায় চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের দোঘর, আয়মা, তেগুরিয়া যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বর্তমানে পুকুরে বিলীন হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই রাস্তার দোঘর চৌধুরী বাড়ি ও দোঘর সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়, দোঘর চৌধুরী বাড়ির কবরস্থানসহ একাধিক স্থানে কয়েকটি পুকুরের মাঝে রাস্তাটির সিংহভাগ অংশ বিলীন হয়ে গেছে।

এছাড়া পুকুরের পাড়ে রাস্তা সংলগ্ন বড় বড় গাছগুলো পুকুরের মধ্যে উপড়ে যাওয়ার কারণে রাস্তার ক্ষতির পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। আয়মা, তেগুরিয়া, হরিদাশপাড়া, চৌমুহনীসহ প্রায় কয়েকটি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের প্রতিদিন চলাচলের জন্য এই রাস্তাটিই একমাত্র ভরসা।

দিনের বেলায় এই রাস্তা দিয়ে স্কুলপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী ও ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ছোট-বড় যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। রাতের বেলায় এই দুর্ঘটনার হার আরো অনেক বেশি।

এছাড়া অধিকাংশ জায়গায় রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের তৈরি হওয়াই এই দুর্ভোগ আরো চরম আকার ধারণ করেছে। তাই অতি দ্রুত এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার কিংবা মেরামত এবং রাস্তা ও পুকুরের যে অংশগুলোতে মাটি নেই রাস্তার সেই অংশগুলোতে প্যালাসাইড নির্মাণ করে মাটি দিয়ে ভরাট করে স্থায়ীভাবে নির্মাণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

দোঘর গ্রামের চৌধুরী বাড়ির মো. জাসদ চৌধুরী বলেন, দিন যতই যাচ্ছে ততই এই রাস্তা মাটির অবস্থা আরো করুণ হচ্ছে। প্রতিদিনই রাস্তার কোনো না কোনো অংশ পুকুরের পেটে যাচ্ছে। এতে করে রাস্তাটি দিন দিন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ছে।

কিন্তু এই অঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার মানুষের জন্য এটিই একমাত্র চলাচলের রাস্তা। বর্তমান সরকারের ভিশনকে বাস্তবায়ন করতে হলে গ্রামীণ এই রাস্তাগুলো আধুনিক মানের রাস্তায় উন্নিত করতে হবে। তা না হলে শহরের সুবিধা কখনই গ্রামের মানুষরা পাবে না।

কাদলা ইউনিয়ন পরিষদের মো. রফিকুল ইসলাম লালু বলেন, শুধুমাত্র রাস্তার সংস্কার করলেই হবে না। যেসব স্থানে রাস্তার দু’পাশ দিয়ে মাটি নেই সেই পাশ দিয়ে প্যালাসাইড নির্মাণ করতে হবে। তা না হলে রাস্তাকে ভেঙে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)