শাওন পাটওয়ারী :
চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টায় মডেল থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ, ওসি (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়া, ওসি (ইন্টেলিজেন্স) মনিরুল ইসলাম।
চাঁদপুর শহরে সম্প্রতি দিনেদুপুরে বেশ কয়েকটি বাসা-বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। তারই সূত্র ধরে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ এ ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাঁদপুর মডেল থানাকে নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়া ও উপ-পরিদর্শক রাশেদুজ্জামান সিসিটিভি’র ভিডিও ফুটেজ এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোর চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করেন।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়া, উপ-পরিদর্শক রাশেদুজ্জামান এবং আওলাদ হোসেন সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে ২৯ মার্চ ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানার করাতিটোলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোর চক্রের ৫জনকে আটক করে। তবে এ চোর চক্রের মূল হোতা কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার বলিয়াদী গ্রামের রফিকুল হাসানের ছেলে ইফতেখারুল হাসান সাঈদ (২৪) কে যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশ আটক করে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের অভিযানের পূর্বেই।
চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে আটকৃতরা হলো- হাড্ডি হিমু (২২), করাটিতোলা যাত্রাবাড়ি; সিফাত আহমেদ রাসেল (২৩), উদ্দমগঞ্জ, সোনারগাঁও; ইমন হোসেন (২০), করাটিতোলা, যাত্রাবাড়ি; কামাল খন্দকার (১৯), নয়নগর, দাউদকান্দি, কুমিল্লা এবং আরিফ হোসেন (২০), করাটিতোলা, যাত্রাবাড়ি। আটক ইমনের ৫টি, আরিফের ৫টি ও হাড্ডি ইমুর বিরুদ্ধে চুরির ৭টি মামলা রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংকালে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার জানান, গত ২৯ তারিখে পালকি কমিউনিটি সেন্টার থেকে ২জন চোরকে আটক করি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঢাকা থেকে আরো ৩জনকে আটক করতে সক্ষম হই। তারা বিভিন্ন বাসাকে টার্গেট করে চুরি করতো। সকলের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। অনেক পকেট আছে এমন প্যান্ট পরে চোরাই মালামাল বহন করে তারা। তাদের সাথে স্থানীয় চক্র রয়েছে।