চাঁদপুরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত টিম গঠন

খালেকুজ্জামান শামীম :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ডাক্তার রইসুল ইসলাম রুবেলের ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযাগ উঠেছে। এ ঘটনায় সিভিল সার্জনের নির্দেশক্রমে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন রোববার চাঁদপুর প্রবাহে প্রকাশের পর এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

গত বুধবার বিকেলে রোজিনা আক্তার কুমিল্লা মেডিকেল হাসাপাতালে দ্বিতীয়বার অপারেশন করার সময় মৃত্যুবরণ করেন। গত ৩১ মার্চ হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ইসলামিয়া মডার্ণ হাসপাতালে সিজার করা হয় উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের শ্রীপুর ফজর আলী বেপারি বাড়ির ওমান প্রবাসী মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী রোজিনা বেগমের। ৩ এপ্রিল রোজিনা বেগমকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রিলিজ দেয়।

৪ এপ্রিল রাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় রোজিনা বেগমকে আবারো হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার চাচী আমেনা আক্তার। পরে অনদ্যা কলে গোল্ডেন হসপিটালের ব্যবস্থনা পরিচালক ডাক্তার রইসুল ইসলাম রুবেল ইসলামিয়া মডার্ণ হাসপাতালে ওই রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন।

ডাক্তার রইসুল ইসলাম রুবেল বলেন, প্রসূতি রোজিনা আক্তার জানান, সে বাথরুমে পড়ে গিয়েছে। তাই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, রোজিনা বেগম ৫ এপ্রিল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্বিতীয়বার অপারেশন করানোর সময় হার্টএ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছে। সার্টিফিকেট দেখে আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।

তিনি বলেন, বেলুন দিয়ে জরায়ূ সেলাই করা হয়েছে বিষয়টি এমন নয়। মেডিকেলের ভাষায় যা যা করা প্রয়োজন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে তাই করা হয়েছে।

প্রসূতির বাবা হাসান খাঁ জানান, ৩১ মার্চ প্রসূতি রোজিনা আক্তার আত্মীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালের দালাল আমেনা আক্তারের মাধ্যমে ইসলাামিয়া মর্ডাণ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের নিয়ে আসে।

রোজিনার স্বজনরা আরো জানান, সিজারিয়ান অপারেশন করেন হাজীগঞ্জ গোল্ডেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. রইসুল ইসলাম রুবেল, এনেসথেসিয়া করান ডা. সাদ্দাম হোসেন। সিজারিয়ান অপারেশনের সময় ডাক্তার রুবেল সন্তান প্রসবের ফুল কাটতে গিয়ে নির্ধারিত অংশের ছেয়ে অতিমাত্রায় জরায়ু কেটে ফেলেছে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃক গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি রবিবার দুপরে হাসপাতাল পরিদর্শন করে অনেক অনিয়ম দেখতে পায়।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. জামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত সমাপ্ত হলে প্রেসিরিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি আপনাদের জানানো হবে।

শেয়ার করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)