চাঁদপুরে মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রবাসীকে জামাই আদর!

শিমুল হাছান :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বশুর বাড়িতে জামাইকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ী ও শ্যালকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী জামাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

জানা যায়, রুপসা উত্তর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের তিনা হাজী বাড়ির আঃ রবের ছেলে কাতার প্রবাসী মো. জসিম (৩৫) গত দুই বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক একই এলাকার গাজী বাড়ির ছলেমান গাজীর মেয়ে রোজিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।

বিয়ের পর জসিম জীবিকার তাগিদে প্রবাসে পাড়ি জমায়। এরপর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উভয় পরিবারের মাঝে বিবাদ চলে আসছিল। গত কয়েকদিন পূর্বে জসিম প্রবাস থেকে দেশে আসে। দেশে আসার পর তার স্ত্রী রোজিনা তার খেয়াল খুশি মতো চলাফেরা করতে থাকে। এতে জসিম তাকে ডাক দিলেও রোজিনা তাতে কর্নপাত না করায় তার বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের অবহিত করে। তাদের অবহিত করায় রোজিনা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে।

এরপর রোজিনা তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। তাকে বাড়িতে আসার কথা বললেও না আসায় গত ১৯ নভেম্বর জসিম তার সন্তানকে দেখতে শ্বশুর বাড়িতে যায়। এ সময় স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ী, শ্যালক তাকে গালমন্দ করে। তাতে প্রতিবাদ করায় জসিমকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বাড়ির গেইটের সাথে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে জসিম জানান, আমি প্রবাস থেকে বাড়িতে বাড়িতে আসার পূর্বে আমার স্ত্রী রোজিনার বেপরোয়া চলাফেরার কারণে তার বাবাসহ পরিবারকে জানাই। এতে আমার স্ত্রী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। গত ১৫ দিন পূর্বে আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। তাকে বারংবার বাড়িতে আসার কথা বললেও না আসায় তাদের আনতে আমি শ্বশুর বাড়ি গেলে স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ী ও শ্যালক আমাকে গালমন্দ করে। আমি তাতে প্রতিবাদ করায় আমাকে কিলঘুষি দেয় এবং পরবর্তীতে আমাকে তাদের প্রতিবেশীর বাড়ির গেইটের সাথে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেঁধে ব্যাপক মারধর করে।

জসিম আরো জানায়, আমি বিদেশ থেকে বাড়ি এসে আমার স্ত্রী রোজিনার ৭ হাজার ২শ’ কাতারি রিয়াল, ৩ ভরি স্বর্ন, ১টি স্মার্ট ফোন, মানিব্যাগ ও কাতারের আইডি কার্ড জমা রাখি।

এ দিকে জসিমকে মারধরের পর থেকে ছলেমানসহ পরিবারের সকল সদস্যরা গাঢাকা দেওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)