চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাফর ইকবাল মুন্না

‘আওয়ামী লীগ নমিনেশন দিলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো : জাফর ইকবাল মুন্না’

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী ১৭ অক্টোবর চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চাঁদপুরের অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন। নির্বাচনে অংশ নিতে অনেকেই তাদের কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। এসব রাজনৈতিক নেতার মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, আমরা মুক্তিযাদ্ধার সন্তান চাঁদপুর জেলা শাখা ও বঙ্গবন্ধু সাংকৃতিক জোট, চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি চাঁদপুরের পরিচিত মুখ অ্যাড. জাফর ইকবাল মুন্না।

তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ দলীয় নমিনেশন দিলে আমি চেয়ারম্যান পদে জেলা পরিষদ নির্বাচন করতে চাই। তবে দলের বাইরে গিয়ে কখনোই নির্বাচন করার কোন ইচ্ছে বা আগ্রহ আমার নেই। চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

অ্যাড. জাফর ইকবাল মুন্না দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে চাঁদপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন গুলোতে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাই এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে তাকে দলীয় মনোয়ন দিবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন।

পারিবারিক পরিচয় : এডভোকেট জাফর ইকবাল মুন্না। পিতা: সুবেদার (অব:) আবদুর রব( আটিলারী বিভাগ)। তার বাবা পাকিস্তান থেকে চাঁদপুর এসে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে চাঁদপুরে মুক্তিযাদ্ধাদের চাঁদপুর মহিলা কলেজ মাঠে ট্রেনিং শুরু করান এবং চাঁদপুর জেলা সহ লাকসাম এবং রায়পুর উপজেলার দায়িত্ব নেন।

এছাড়া লাকসাম এবং রায়পুরে সকল যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। তার বাবা রব বাহিনীর নাম শুনলে হানাদার বাহিনী পালিয়ে যেতেন। যুদ্ধের শেষ সময়ে চাঁদপুরের ৭টি ব্যাংকের চাবি তার বাবার কাছেই ছিলো। পরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সরকারের কাছে তা জমা দেন।

চাঁদপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা কমান্ডার ছিলেন (১৯৭২-৭৬)। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালের পর তিনি মুক্তিযাদ্ধা সংসদের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। সারা জীবন সততার সাথে জীবন যাপন করেন। ২০০৮ সালে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

রাজনৈতিক পরিচিতি : অ্যাড. জাফর ইকবাল মুন্না বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাবেক পদ পদবি : ১৯৮৭ সালে সভাপতি ঢাকা কটন মিলস হাই স্কুল। ১৯৯০ সালে চাঁদপুর সরকারী কলেজে ৯০ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে চাঁদপুর সরকারী কলেজ সংসদ নির্বাচনে কমনরুম সম্পাদক নির্বাচন করেন। ওই সময় জেলা ছাত্রলীগের জেলার কমিটির সদস্য হয়ে ছিলেন। ১৯৯৫ সালে জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক, ১৯৯৭ সালে জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন, ১৯৯৮ সালে চাঁদপুর শহর ছাত্রলীগের আহবায়ক হন। ২০০০ সালে জেলা ছাত্রলীগের প্রথম যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হন। ২০০২ সালে লেয়াকত -বাবু ভাই কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য হয়েছিলেন। ২০০৫ সালে, ২০০৬ সালে দুইবার কারাগারে যান তিনি। ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত ১১ মামলার আসামি হয়ে ছিলেন। ২০০৬ সালে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক হন। সভাপতি : আমরা মুক্তিযাদ্ধার সন্তান চাঁদপুর জেলা শাখার, সভাপতি : বঙ্গবন্ধু সাংকৃতিক জোট, চাঁদপুর জেলা শাখা। কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে রাজনৈতিক কাজ সম্পৃক্ত আছেন।

শেয়ার করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)