চাঁদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
কচুয়ায় অবস্থিত চাঁদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ক্যাম্পাসে পদ-পদবী নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৪জন আহত হয়েছে। শনিবার বিকেলে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে স্থানীয় সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ গ্রæপের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। পরে বাকতিন্ডার এক পর্যায়ে উভয় গ্রæপের নেতাকর্মী চরম উত্তেজিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে অন্তত ৪জন আহত হয়েছে।

আহতরা হলেন : চাঁদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাকিল হোসেন (২১), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি (২২), সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম (২২) ও শেখ সজিব (২২)। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় মোঃ শাকিল ও ফজলে রাব্বিকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে শাকিল ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি চলে যায়।

আহত ফজলে রাব্বি জানান, দীর্ঘদিন কলেজ বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়ার আনন্দে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করি। এ সময় সেলিম মাহমুদ গ্রæপের শেখ সজিবের নেতৃত্বে নুর মোহাম্মদ (২০), জুনাইদ (২০), জাহিদ (২০, রায়হান (২০), রাকিব (২০)সহ ২০-৩০জন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তিনি আরো জানান, বর্তমান সভাপতি নাসির উদ্দীন প্রবাসে চলে যাওয়ায় শূন্য পদ পাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’গ্রæপের মাঝে এ সংঘর্ষ হয়।

জানা যায়, আহত শাকিল, ফজলে রাব্বি ও রবিউল ইসলাম স্থানীয় সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপির সমর্থক এবং শেখ সজিব বাংলাদেশ আাওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদের সমর্থক।

এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপির সমর্থক উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেন বলেন, চাঁদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিল হোসেনের উপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি এই হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এমপি স্যারের সাথে পরামর্শক্রমে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আহতদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)