শরীফুল ইসলাম:
চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের জয়জয়কার হয়েছে।
সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সির পদে ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে ফেরদৌসি আক্তার চশমা প্রতীকে ৭ হাজার ১১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইশিতা বেগম ৬৭৭ ও ফারজানা ৪০৮ ভোট পেয়েছেন।
৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে খালেদা বেগম ৪ হাজার ২২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শাহনাজ আলমগীর পেয়েছেন ৬১৭ ভোট। ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে ফরিদা ইলিয়াছ টেলিফোন প্রতীকে ৭ হাজার ৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সরিয়তুলনেছা ৯৯৪ ভোট, আয়শা বেগম ২২৩ ও মনি বেগম ৮৪ ভোট পেয়েছেন। ১০, ১১ ও ১২নং ওয়ার্ডে আয়শা রহমান ৫ হাজার ২৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রেবেকা সুলতানা বকুল পেয়েছেন ৩ হাজার ৫০ ভোট। ১৩, ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ডে শাহিনা বেগম ৪ হাজার ৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী খাদিজা আক্তার ৩ হাজার ৩২৭ ভোট ও সাহানারা বুলবুল পেয়েছেন ২ হাজার ৪৮৫ ভোট।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে মোঃ আলী মাঝি ২ হাজার ৭০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আসলাম তালুকদার ৪৮ ভোট ও নুর মোঃ পাটওয়ারী পেয়েছেন ৩০ ভোট।
২নং ওয়ার্ডে মালেক শেখ ২ হাজার ৭২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী সিদ্দিকুর রহমান ঢালী ১১১ ভোট ও মোঃ সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ২৮ ভোট।
৩নং ওয়ার্ডে অব্দুল লতিফ গাজী ২ হাজার ৪১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ শাহাদৎ হোসেন ১৫০ ও শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৯ ভোট।
৪নং ওয়ার্ডে মামুনুর রশিদ দোলন ১ হাজার ৯০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রহমান মিয়াজী পেয়েছেন ৪২ ভোট।
৫নং ওয়ার্ডে সাইফুল ইসলাম ১ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আলমগীর মিয়াজী ২১ ভোট, মেহেদী হাসান বাচ্চু হাজী ১১ ভোট ও ইব্রাহিম ঢালী পেয়েছেন ২ ভোট।
৬নং ওয়ার্ডে সোহেল রানা ১ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বি এম নজরুল ২ ভোট ও বিপ্লব পেয়েছেন ৮ ভোট।
৭নং ওয়ার্ডে শফিকুল ইসলাম ২ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আলী আহমেদ সসরকার ১১৫ ও জিয়া প্রধানীয়া পেয়েছেন ৩৫ ভোট।
৮নং ওয়ার্ডে হেলাল হোসেন ২ হাজার ৩২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী অালমগীর হোসেন ৩৭ ভোট, আবুল কালাম আজাদ ৩৫ ভোট ও হোসেন গাজী পেয়েছেন ৮০ ভোট।
৯নং ওয়ার্ডে চাঁন মিয়া মঝি ১ হাজার ৫২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম মোল্লা পেয়েছেন ১৩৩০ ভোট। একমাত্র এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন।
১০নং ওয়ার্ডে ইউনুছ শোয়েব ১ হাজার ৮০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দেওয়ান মোঃ শাহজাহান ৫৯৫ ভোট, খোকন মজুমদার ২৭২ ভোট, আরিফুল ২৪৩ ভোট, ইউসুফ মিয়াজী ১৩৪ ভোট ও গিয়াস উদ্দিন রানা পেয়েছেন ৪২ ভোট।
১১নং ওয়ার্ডে ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী ১ হাজার ৮০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাইনুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৬৫ ভোট।
১২নং ওয়ার্ডে হাবিবুর রহমান ২ হাজার ৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শরীফ আহমেদ পলাশ পেয়েছেন ২৯১ ভোট।
১৩নং ওয়ার্ডে আলমগীর গাজী ২ হাজার ৪৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী এ বি এম আরিফুল ইসলাম তালুকদার পেয়েছেন ১১৫৯ ভোট।
১৪নং ওয়ার্ডে খায়রুল ইসলাম নয়ন ১ হাজার ২১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ মহসিন মজুমদার ১ হাজার ১৫৬ ভোট,
হারুনুর রশিদ হাওলাদার পেয়েছেন ৬৩৪ ভোট।
১৫নং ওয়ার্ডে কবির হোসেন চৌধুরী ১ হাজার ৬৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মালেক বেপারী পেয়েছেন ২৭ ভোট।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তোফায়েল হোসেন নির্বাচনের ফল প্রকাশকালে বক্তব্যে বলেন, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, নির্বাচিত ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থি, সাংবাদিকসহ নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল পর্যায়ের সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।