চাঁদপুর পৌরসভায় বছরে ৩ কোটি টাকা আয় বৃদ্ধি ও ১ কোটি টাকা ব্যয় কমানো হবে

শরীফুল ইসলাম :
চাঁদপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেছেন, এ বছর চাঁদপুর পৌরসভার কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে বছরে ৩ কোটি টাকার আয় বৃদ্ধি করা হবে এবং ১ কোটি টাকার ব্যয় কমানো হবে। তিনি বলেন, ৫৭ কোটি টাকার দেনা নিয়ে আমি পৌরসভার দায়িত্ব নিয়েছি।

তিনি বলেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত লোকবলের কারণে বেতনের উপর প্রভাব পরে। পৌরসভার আওতাধীন বিদ্যুতের মিটার ছিল ৮০টি। যা প্রয়োজনের চাইতে বেশি, আমি ৪২টি মিটারের বকেয়া পরিশোধ করে বন্ধ করে দিয়েছি। এতে সিস্টেম লস কিছুটা হলেও বন্ধ হয়েছে। এছাড়া পৌরসভার অনেক অপ্রয়োজনীয় ব্যাংক একাউন্টও কমিয়ে আনা হয়েছে কাজে গতি আনার জন্য।

সোমবার সকালে চাঁদপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র অ্যাডভোকেট মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল চাঁদপুর প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাড. মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের দায়িত্বভার গ্রহণের ৩ মাস পূর্ণ হওয়ার প্রাক্কালে তিনি তার কর্মকালের কার্যক্রম ও আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় সভার বিস্তারিত তুলে ধরে আলোচনা করেন। চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা।

বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, অধ্যক্ষ মোঃ জালাল চৌধুরী, শহীদ পাটওয়ারী ও শরীফ চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, সহ-সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ্, পৌরসভার সচিব আবুল কালাম ভূঁইয়া, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন হাওলাদার, প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনির চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরান শোভন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল আউয়াল রুবেল ও রিয়াদ ফেরদৌস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এ কে আজাদ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তালহা জুবায়ের প্রমুখ।

পৌর মেয়র আরো বলেন, আমি চাঁদপুর পৌরসভার দায়িত্ব নেওয়ার পর তিন মাসের বেতনের কোন বকেয়া রাখি নাই। অতীতের বেতন বকেয়া রয়েছে। ২৩০জন পরিচ্ছন্নকর্মী এখন থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন গ্রহণ করবে, এতে ব্যাংককে কোন সার্ভিস চার্জ দিতে হবে না। এটি পৌরসভার জন্য একটি বড় অর্জন বলে মনে করি। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য শহরের স্বর্নখোলায় ২০টি বহুতল ভবন করে সকলকে একটি ফ্লাট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সকল সনদ এখন থেকে অনলাইনে পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, ১২৫ বছরের ঐহিত্যবাহী পৌরসভায় কোন কনফারেন্স রুম ছিল না, আমার তিন মাসের কার্যকালে একটি আধুনিক কনফারেন্স রুম করতে পেরেছি। নকশা বহির্ভূত ভবন আর পৌরসভায় গড়তে দেওয়া হবে না। যদি কোন বহুতল ভবন গড়েও ওঠে তাহলে তা ভেঙ্গে দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, পৌরসভার পরিবহনের তেলের খরচ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছি। পানি শাখার কর্মচারীদের মাধ্যমে রিপেয়ারিং এর কাজ করছি, অতীতে তা ঠিকাদার দিয়ে করা হতো। পানি শাখা থেকে আমাদের আয় বিগত দিনে যা হয়েছে, তাতে খরচ অনেক বেশি ছিল। পানি শাখার মাধ্যমে মাত্র তিন মাসে ১৫টি ওয়ার্ডে ৭৮৬টি অবৈধ সংযোগ পাওয়া গেছে। তা বিচ্ছিন্ন করেছি। পৌরসভার ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করার চেষ্টা চলছে, তাতে অনেক খরচ পৌরসভার কমে যাবে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)