‘চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌ-রুটে রেললাইনসহ মেঘনা টানেল বা সেতু নির্মাণ করা হবে’

চাঁদপুর শহর রক্ষায় স্থায়ী বাঁধের জন্য আমরা ৪২০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রণয়ন করেছি : আগামী বর্ষার আগেই কাজ শেষ হবে : পানিসম্পদ উপমন্ত্রী

শাওন পাটওয়ারী :
চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুরের কৃতি সন্তান এ কে এম এনামুল হক শামীম। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পুরানবাজার হরিসভা এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন তিনি।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌ-রুটে রেললাইনসহ মেঘনা টানেল বা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি ও আমি এ ব্যাপারে একমত হয়েছি। আমরা শীঘ্রই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে পরবর্তী উদ্যোগ গ্রহণ করবো। আশা করছি, বর্তমান সরকারের শেষ দিকে হলেও আমরা এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবো।

উপমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনৈতিমক সক্ষমতা বেড়েছে। সারা বাংলাদেশে ১৬ হাজার ৭শ’ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। ৫ হাজার ৭শ’ ৫৭ কিলোমিটার উপকূলীয় অঞ্চলের বাঁধ। আড়াই হাজার কিলোমিটার দুর্গ বাঁধ।

তিনি বলেন, নদী ভাঙন কবলিত এলাকা চাঁদপুর ও আমার শরীয়তপুরের অনেক এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশের সকল ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছি। সবগুলোতেই স্থায়ী প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে।

এনামুল হক শামীম বলেন, আপনাদের মনে আছে ২০১৮ সালে চাঁদপুর পুরানবাজারে রাতে যখন ভাঙে তখন ভোর বেলায় আমি এখানে এসে উপস্থিত হয়েছি। এবারও আমরা ইমার্জেন্সি ওয়ার্ক করে হরিসভারকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। চাঁদপুর শহরে স্থায়ী বাঁধের জন্য আমরা ৪২০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রণয়ন করেছি যার কারণে আমি এখানে ভিজিট করতে এসেছি। এটার জন্য টেকনিকেল কমিটি হয়েছে। এটা এখন একনেকে যাবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা পাঁচ-দশ বছরের জন্য প্রকল্প করতে চাই না কমপক্ষে ৫০ বছরের জন্য স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করবো। চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুনঃনির্মাণের প্রকল্পটি আগামী বর্ষার আগেই আমরা শেষ করব। আমি মহান সংসদে বলছিলাম পদ্মা সেতু হয়ে যাচ্ছে, কর্নফুলী টানেল হচ্ছে। এখন বাকী মেঘনা নদীতে টানেল অথবা সেতু নির্মাণ। আমি মেঘনার টানেলটা করতে চাই। আমি দীপু আপার সাথে কথা বলেছি। উনি আমার বড় বোনের মতো। বড় বোন ও ছোট ভাই মিলে মেঘনার টানেলটা করতে চাই। এই সরকার শেষ সময়ের আগে মেঘনার টানেল অথবা সেতুর কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবো ইনশাল্লাহ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান (পিপিএম, বার), পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জহির উদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মজনু হাওলাদার, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নকিবুল হাসান হক, মঞ্জুর ভূইয়া, সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারী।

আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির চাঁদপুরস্থ প্রতিনিধি অ্যাড. সাইফুদ্দিন বাবু, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মালেক শেখ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে উপমন্ত্রী কোস্টগার্ডের স্পিডবোটযোগে শরীয়তপুর রওনা করেন। তিনি চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌ-চ্যানেল পরিদর্শন করে আলু বাজার ফেরিঘাট পরিদর্শন করেন।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন