চুরির টাকায় বিয়ে, স্ত্রীর গর্ভপাত ও মসজিদে দান!

শরীফুল ইসলাম :
চুরির টাকা থেকে ভাগ পেয়ে একজন মসজিদে দান করেছে, একজন বিয়ে করেছে এবং একজন স্ত্রীর সিজারে গর্ভপাত ঘটিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানায় চোরের দল। গণমাধ্যমকে সেই তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। অথচ এই চুরির ঘটনায় নিঃস্ব হওয়ার পথে চাঁদপুর শহরের ফার্মেসী ব্যবসায়ী দুদু মিয়া।

চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি মোড় এলাকায় দোলা ফার্মেসীতে দুধর্ষ চুরিতে জড়িত ঘটনায় ৪ চোরকে আটক করেছে পুলিশ। চাঁদপুর নতুনবাজার ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ বাহার মিয়া ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোল হোতাসহ ৪জনকে আটক করে। চুরি হওয়ার ১ মাস ৭ দিনের মাথায় আন্তঃজেলা চোরচক্রের সদস্যদের আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

আটককৃতরা হলো জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার নান্দাইল গ্রামের নুরুল ইসলাম (২৭),ঢাকা আশুলিয়ার গোয়ারহাট মোল্লাবাড়ির সাইদুল বাশার (৪২), খিলগাও উত্তর গোরানের মোঃ রুবেল (৩০) ও মাদারিপুর কালকিনি থানার পশ্চিম মাইজাপাড়ার মোঃ শামিম মাতব্বর (৩২)। শুক্রবার দিনভর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় থানা পুলিশের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়।

নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ বাহার জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোর চক্রের গতি বিধি অনুসন্ধান করে অভিযান পরিচালনা করা হয়। গত ১০ আগস্ট চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি মোড়ে রাত আড়াইটার দিকে দুদু মিয়ার মালিকানাধীন দোলা ফার্মেসীতে টিনের চালা কেটে তারা ১৮ লাখ টাকার মূল্যবান ঔষধ চুরি করে নিয়ে যায়। পরদিন ১১আগস্ট দুদু মিয়া চাঁদপুর মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে ৪৬১/৩৮০ ধারায় পেনাল কোটে মামলা করে। চাঁদপুর মডেল থানা মামলা নং ১৭।

আটক চোরচক্র দোলা ফার্মেসীর উত্তর পাশের আবাসিক হোটেল শরীয়তপুরে অবস্হান করে চুরি সংঘটিত করে। শরীয়তপুর হোটেলে তারা যে মোবাইল নাম্বার লিপিবদ্ধ করে ছিল তার সব কটি নাম্বার মিথ্যা ছিল। একটি নম্বার সঠিক থাকায় তা টেকিং করে চোরদের শনাক্ত করা হয়।

১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকার কমলাপুর, খিলগাও, আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়। দোলা ফার্মসীর ভিতর থেকে ঔষধ চুরি করে জয়পুরহাটের নুরুল ইসলাম। তাকে ও শামিম মাতব্বরকে কমলাপুর, সাইদুল বাশারকে আশুলিয়া ও রুবেলকে খিলগাও থেকে আটক করা হয়।

পুলিশ আরো জানায়, এরা চুরি করা ঔষধগুলো ঢাকার সদরঘাট এলাকায় গিয়ে জয়ন্ত ও মামুন নামের দু’জনের মাধ্যমে কেরানীগঞ্জের মিডফোডে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। সে টাকা নিজেরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে যায় চোর চক্র। চোরাই ঔষধ ক্রয়কারী ব্যবসায়ীকে এখনো আটক করা হয়নি। তাকে আটক করলে ঔষধগুলো উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)