নির্বাচন ১০ অক্টোবরই অনুষ্ঠিত হবে : মেয়র প্রার্থী অ্যাড. জুয়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেছেন, এবারের নির্বাচন, এই এলাকাসহ ১৩নং ওয়ার্ডে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পৌরসভার ১২৫ বছর বয়স।

এই ১২৫ বছরের ইতিহাসে চাঁদপুর পৌর এলাকার পূর্বাঞ্চল তথা ১২, ১৩, ১৪ ১৫ এই সমস্ত এলাকা থেকে কেউ মেয়র বা চেয়ারম্যান হওয়ার সুযোগ পাননি। শুধু তাই নয়, প্রার্থীও হতে পারেনি কেউ।

এই প্রথম এ অঞ্চলের কোন একজন মানুষ দল হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন। এই জন্য এই অঞ্চলের সবাই মিলে যদি আমরা চেষ্টা করি। তাহলে এই অঞ্চলের মধ্যে এই প্রথম আমরা একজন মেয়র পাবো।

আমার প্রতীক হলো নৌকা। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। অনেকে বলে, এইটা একটা দলীয় নির্বাচন। এইটার সাথে জাতীয় রাজনীতির সম্পৃক্ততা খুঁজেন। কিন্তু এই নির্বাচনের সাথে জাতীয় রাজনীতির কোন সম্পর্ক নাই।

এই নির্বাচনের ফলাফল দিয়ে কোন সরকার গঠনও হবে না। কোন সরকারের পতনও হবে না। এই নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত আছে শুধু স্থানীয় উন্নয়নের। এই নির্বাচনের সাথে সরকারের একটা সম্পর্ক আছে, সেটা হলো সরকার দলের প্রার্থী যদি জয় লাভ করে, তখন তিনি সরকারের কাছ থেকে জনকল্যানমুখী বিভিন্ন কাজ আদায় করতে পারেন।

তিনি আরো বলেন, অন্য দলের বিজয়ী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা কম পাওয়া যায়। আমি যেহেতু সরকার দলের লোক আবার এই এলাকার সন্তান। সে জন্য আমি সরকারের বরাদ্দ বেশিও পাবো এবং তা নিজ এলাকা তথা এই ওয়ার্ডের উন্নয়নেও কাজে লাগাতে পারবো।

এবারের নির্বাচনটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। প্রতিবার এনালাগ সিস্টেমে ভোট প্রদান হলেও এবারই প্রথম চাঁদপুর পৌরসভায় ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। যা চাঁদপুর পৌরবাসীর জন্য একেবারেই নতুন। এই ইভিএমের মাধ্যমে ভোটের নিয়ম হচ্ছে, আপনার ভোট আপনাকেই দিতে হবে। অন্য কেউ দিতে পারবে না। সুতরাং, ১০ অক্টোবর আপনাদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে।

তিনি শুক্রবার ১৩নং ওয়ার্ডের ঘোড়ামারা আশ্রায়ন প্রকল্পের উঠান বৈঠকে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমরা বিভিন্ন পৌরসভা বা জনপ্রতিনিধিদের কাছে গেলে দেখতে পাই। স্যুট টাই পড়া কিংবা দামি গাড়ীতে চড়া ব্যাক্তিরাই জনপ্রতিনিধির সামনে বসে চা খেতে খেতে তাদের ২ মিনিটের কথা বলতে ২০ মিনিট ব্যয় করেন।

অথচ আমার সাধারণ মেহনতি ভাইরা, রিক্সাওয়ালা শ্রমিকরা জনপ্রতিনিধির রুমে যাওয়ার আগেই দেখা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। আমি ওয়াদা করলাম, আমি নির্বাচিত হলে, পৌরসভায় একজন স্যুট পরিহিত ও দামী গাড়ীতে চড়া লোক যে সম্মান পাবে, একজন রিক্সাওয়ালা ভাইও সে সম্মান পাবেন। আপনারা শুধু আমাকে একদিন দিবেন। বিনিময়ে আমি যতদিন জীবিত থাকি, আমার প্রত্যেকটা দিনই থাকবে আপনাদের জন্য।

তাই আগামী ১০ অক্টোবর সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন। নৌকা প্রতীকে ভোট দিবেন। তবে আগামী ১০ অক্টোবর নির্বাচন হবে কিনা? এটা নিয়ে অনেক গুঞ্জন রয়েছে। আমি আপনাদেরকে নিশ্চিত করে বলি, নির্বাচন ১০ অক্টোবরই অনুষ্ঠিত হবে। ১০ সেকেন্ডও পেছাবে না।

২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয় চাঁদপুর পৌর নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। আনুষ্ঠানিক প্রচারণার ১ম দিন হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল ১৩নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেন।

বিকেল ৩টায় ঘোড়ামারা আশ্রায়ন প্রকল্পের উঠোন বৈঠকে তিনি অংশগ্রহণ করেন। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টায় পাকা মসজিদ সংলগ্ন ১৩নং ওয়ার্ডের মহিলা উঠোন বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জুয়েল ঢালী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মোঃ মোতালেব, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন খান, সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হুমায়ুন কবির সুমন, যুগ্ম আহবায়ক শিমুল হাসান শামনু, চাঁদপুর সরকারি কলেজের সাবেক জিএস নুরুল হায়দার সংগ্রাম, সাবেক প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম সুমন, আনোয়ার হোসেন আনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রাসেল আখন্দ, হাবিবুর রহমান।

এ সময় বক্তব্য রাখেন ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমগীর গাজী, সেলিম গাজী, আব্বাস গাজী, ইব্রাহীম গাজী, ১৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি কাকন গাজী, আব্দুস সামাদ টুনু, রাজু গাজী, কনক, তুহিন।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)