প্রেমিকের সাথে পালিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল চাঁদপুরের এক স্কুলছাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রেমিককে বিশ্বাস করে ঘর ছেড়ে তার সাথে পালিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়ে বাড়ি ফিরেছে আমেনা আক্তার নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার জোড়খালী গ্রামে তার বাড়ি। মরহুম ডা. নাছির উদ্দিনের মেয়ে আমেনা।

আমেনার পারিবারিক সূত্র জানায়, আমেনা ছেঙ্গারচর সরকারি মডেল হাইস্কুলে দশম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। তার পিতার ডা. নাছির উদ্দিন মৃত্যুবরণ করার পর তার মামারাই তাদের সংসার দেখভাল করছে এবং আমেনার লেখাপড়ার খরচ চালাতো। কিছুদিন আগে এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে রেজিস্ট্রেশনও সম্পন্ন করেছে আমেনা।

এর মধ্যে ছেঙ্গারচর পৌর বাজারের রিয়াসাদ নামের এক দোকান কর্মচারীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আমেনা। রিয়াসাদ একই গ্রামের মিয়ার হোসেনের ছেলে। বিষয়টি তার পরিবার জানতে পারলে তাকে এ ধরণের সম্পর্ক থেকে সর্তক করা হয়। কিন্তু তা না মেনে গত ১ এপ্রিল সকালে আমেনা কোচিংয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রেমিক রিয়াসাদের সাথে পাড়ি জমায় অজানা উদ্দেশ্যে। সাথে রিয়াসাদের বন্ধু একই গ্রামের সাইফুল বেপারীর ছেলে শহীদুল ইসলামও যায়। তারা আমেনাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ শেষে নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড বটতলায় ফেলে যায়। পথচারীরা তার সাথে একটি ব্যাগে থাকা নাম্বারে কল দিয়ে বাড়িতে খবর পৌঁছায় এবং তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত আমেনার আত্মীয় টিপু বলেন, আমেনাকে তারা পুরো একদিন তাদের সাথে রেখেছে। তাকে খাবারের সাথে অচেতনের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে তাকে রাস্তায় ফেলে রাখে বখাটে রিয়াসাদ ও শহীদুল। তার শরীরে ধর্ষণের সিমটম পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, আমেনার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রিয়াসাদের সাথে। কিন্তু তারা দু’জনেই আমেনাকে ধর্ষণ করেছে বলে আমাদের ধারণা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে মোবাইলে কল করে আমেনাকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নেয় তারা। মোবাইলের কল রেকর্ডও রয়েছে আমাদের কাছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসার পর মামলা দায়ের করা হবে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)