ভাসমান বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত চাঁদপুরের কৃষকরা

মোরশেদ আলম :
চাঁদপুরে বৃষ্টিতে তিনবার ভাসমান বীজতলা নষ্ট হওয়ার পর আবারো কৃষকেরা বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত। ওই বীজতলায় চারা উৎপাদন করে ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা কৃষকদের। প্রায় ২০ বছর ধরে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সোবান এলাকায় বেশ ক’জন কৃষক লালশাক, মুলা, লাউ, কুমড়া, সীম, করলা, পেপেসহ বিভিন্ন জাতের সবজি ও মসলার ভাসমান বীজতলা তৈরী করে চারা উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।

কিন্তু সম্প্রতি তিনবার অতিবৃষ্টির কারণে বীজতলা নষ্ট হয়ে উৎপাদিত চারা মরে যাওয়ায় ও বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা লোকসানের পড়েছে। যদিও কৃষিবিভাগ মাত্র একাবার সার দিয়ে দায় সেরেছে।

দেখা যায়, কৃষকরা নষ্ট হওয়া ভাসমান বীজতলা কচুরিপানা, টোপাপানা একত্রিত করে ভেলা তৈরী করে তাতেপানি, কাদামাটি দিয়ে পচিয়ে পুনরায় বীজতলা তৈরী করছে। আর এই বীজতলায় বিভিন্ন জাতের সবজির বীজ বপন করে ২/৩ দিনের মধ্যে ভ্রুণ আসলে সেই সদ্য চারা ভাসমান বীজতলায় এনে বড় করে বাজারজাত করছে।

কৃষক খাজা আহমেদ বলেন, ২০/২৫ বছর যাবত ৪৫ শতাংশ নিচু জমিতে ভাসমান বীজতলা তৈরী করে বিভিন্ন নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আবারো বীজতলা তৈরী করছে।

কৃষক মিজান, সহিদ ও বাবুল জানায়, প্রতিবছর তারা চারা বিক্রি করে ভালই লাভবান ছিল। এ বছর ৩ বার বীজতলা নষ্ট হওয়ায় তারা দিশেহারা। তাই আবারো লাভের আশায় তারা বীজতলা তৈরী করে চারা উপাদনে নেমেছে।

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষি কর্মকর্তা জানান, ভাসমান চারা উৎপাদনকারীদের আমরা ট্যাকনিকেল সাপোর্ট দিয়ে থাকি। এবং আশপাশের অন্যদেরও কিছু প্রদর্শনীর মাধ্যমে মোটিভেশন করা হচ্ছে।

বাইরের জেলা বা উপজেলার থেকে যারা আসছে তাদেরকেও এ প্রদর্শনী দেখিয়ে পরামর্শ দিই। কারণ, তাদেরও মোটিভেটেড করার চেষ্টা করছি। জলাবদ্ধ ও পানি লেক ব্যবহার করে লাভবান হতে পারে এ পরামর্শ দিই। যেন তারা উৎসাহী হয়।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)