হাইমচরের ঈশানবালায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে ৮৩ লাখ টাকা বরাদ্দ

জিইও ব্যাগ রক্সণাবেক্ষণের জন্য এলাকাবাসীকে অনুরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ঈশানবালা এলাকায় মেঘনা নদী ভাঙন প্রতিরোধে ৮৩ লাখ টাকা তাৎক্ষণিক বরাদ্দ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার বিষয়টি স্থানীয়দের নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আগুনে পুড়লে বসতভিটা থাকে। কিন্তু নদীতে ভেঙে গেলে কিছুই থাকে না। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির একান্ত প্রচেষ্টায় ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের কারণে ঈশানবালার ১৫০ ফিট নদী ভাঙন এলাকার জন্য ৮৩ লাখ টাকার কাজের বরাদ্দ এসেছে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু হবে। এছাড়া স্থায়ী বাঁধের জন্য প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার জিইও ব্যাগুলোর দিকে খেয়াল রাখবেন। বস্তাগুলোর যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা আপনাদেরই দায়িত্ব। কারণ জিইও ব্যাগ ছিদ্র হলে কোন মূল্য থাকে না।

তিনি আরো বলেন, ভোলা জেলায় চাকুরি করতে গিয়ে আমি দেখেছি সেখানকার শিবপুর ইউনিয়নবাসী একটি বস্তাও ক্ষতি করেনি। আমি তিন বছর সেখানে ছিলাম। সরকার জিইও ব্যাগ নদীতে ফেলে দিয়ে আপনাদের রক্ষায় কাজ করছে। আর আপনারা তার রক্ষণাবেক্ষণ করবেন না। তা হবে না। আপনাদের এগুলো রক্ষায় জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।

নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন সর্দার বলেন, এ বছরের পানি বৃদ্ধির কারণে ঈশালবালা বাজারে অর্ধশতাধিক দোকান ও শতাধিক বসতভিটা নদীতে চলে গেছে। এছাড়ার স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসা, পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নদীগর্ভে কিছু বিলীন হয়েছে। কিছু বিলীনের পথে।

ভাঙনরোধে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৮৩ লাখ টাকার তাৎক্ষণিক কাজের বরাদ্ধ এসেছে। এই জন্য ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর হোসেন।

নদীতে বসতভিটা হারা আমাতুননেছা বলেন, নদী আমার ঘর ভিটা সব নিয়ে গেছে। আমি এখন কোথায় থাকমু কেমনে দিন কাটবো এক আল্লায় জানে। পানিতে আমার তিনডা গরুরও মারা গেছে।

ঈশানবালা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বেপারী বলেন, এ বছর নদীর পানির তোড়ে বাজারের অনেক দোকান নদীতে চলে গেছে। প্রতিদিন জোয়ারে পানি বাড়লে বাজারের দোকানদাররা চিন্তায় থাকে কখন না জানি তাদের দোকানপাট নদীতে চলে যায়।

ঈশানবালা বাজার জামে মসজিদের সভাপতি জয়নাল আবেদীন সর্দার বলেন, আমাদের এলাকার মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলো ভাঙনের মুখে। নদী যে কোন সময় বাজারের মসজিদটি নিয়ে যাবে। সরকার ভাঙনের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে আমাদের দাঁড়ানোর মাটি থাকবে না।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া বলেন, আমার দোকানটি এ নিয়ে দু’বার স্থান বদল করেছি। নদী ধীরে ধীরে ভাঙার কারণে আমরা আরো ভিতরে চলে যাচ্ছি।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)