নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরের প্রতিটি উপজেলায় অচিরেই রেপিড এন্টিজেন্ট টেস্ট চালু হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিদ্যমান ল্যাবে এই টেস্ট করা হবে। টেস্টের ফলাফল ৩০ মিনিটের মধ্যে পাওয়া যাবে। এই টেস্টের শতকরা ৫০-৬০ ভাগ সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যায়। তাই সন্দেহভাজনদের নমুনা সংগ্রহ করে চাঁদপুরস্থ আরটি-পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হবে। সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্যাহ এসব তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, গত এক মাসে চাঁদপুর ৪ হাজার ৫শ’ টেস্টের মধ্যে ১ হাজার ৪২জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। চলতি এপ্রিল মাসেই ২২জনের মৃত্যু হয়েছে। সারাদেশে মৃত্যুর হারে যেখানে ১.৫ সেখানে চাঁদপুরে২.৫ হয়ে গেছে। এটি অত্যন্ত ভয়ানক আশঙ্কা তৈরি করছে।
তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের এই সময়ে আমাদের এখানে দেখা যাচ্ছে যে, আগে যেমন করোনার ভাইরাসটি শরীরের বিভিন্ন স্থান আক্রমণ করার পর ফুসফুসে আক্রমণ করতো কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এটি সরাসরি ফুসফুসে আক্রমণ করছে। যা অত্যন্ত ভয়ানক। করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ার এক দুই দিনের মধ্যে করোনার টেস্ট করে পজেটিভ হলে আক্রান্তদের হাসাপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন।
সিভিল সার্জন আরো বলেন, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ৩ বেডের আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। লিকুইড অক্সিজেন ট্যাঙ্ক স্থাপন করা হচ্ছে। যা দিয়ে সমগ্র হাসপাতালটি অক্সিজেনের আওতায় আসবে। অর্থাৎ সবগুলো বেডেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবহার করতে পারবে। আর এই কাজটি ঈদের আগেই সম্পন্ন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
চাঁদপুর জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় তিনি এসব তথ্য জানান। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে জুম প্লাটফর্মে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া এই সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।