নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া মোঃ রাজ্জাক ভাট (৭০) করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত (বুধবার) রাত পৌনে ১টার দিকে মারা যান কল্যাণপুর ইউনিয়নের কল্যান্দী গ্রামের এই বৃদ্ধ।
রোববার সকালে তার করোনা টেস্টের রিপোর্ট আসে পজেটিভ। এ নিয়ে চাঁদপুর জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭৬জন। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ২২জন।
এদিকে বুধবার সকাল ১১টার দিকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যাওয়া কল্যাণপুর ইউনিয়নের কল্যান্দী গ্রামের গৃহবধূ লাকীর (৩৪) নমুনা টেস্টের রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ এসেছে।
চাঁদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুর পর্যন্ত জেলায় ১০টি নমুনা টেস্টের রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ১জনের (মৃত রাজ্জাক ভাট) রিপোর্ট পজেটিভ। বাকী ৯টি রিপোর্ট নেগেটিভ।
সূত্র মতে, চাঁদপুরে জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ২৭৬জনের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ১৩৬জন, ফরিদগঞ্জে ৪৪জন, হাজীগঞ্জে ২২জন, মতলব দক্ষিণে ২০জন, শাহরাস্তিতে ১৯জন, কচুয়ায় ১৬জন, মতলব উত্তরে ১৩জন ও হাইমচরে ৬জন।
এছাড়া জেলায় মোট ২১জন মৃতের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ৭জন, কচুয়ায় ৪জন, ফরিদগঞ্জে ৪জন, হাজীগঞ্জে ৪জন, মতলব উত্তরে ২জন ও শাহরাস্তিতে ১জন।
সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ এক প্রেস নোটে জানান, রোববার চাঁদপুর থেকে আরো ৩৩টি নমুনা পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে প্রেরণকৃত নমুনার সংখ্যা দাঁড়ালো ২২৮৬টি। রিপোর্ট এসেছে ২০০৩টি। রিপোর্ট অপেক্ষমান ২৮৩টি।
তিনি আরো জানান, জেলায় আক্রান্ত ২৭৬জনের মধ্যে ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬৮জন। চিকিৎসাধীন আছেন ১৮৬জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ১২৭জন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১০৬জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রোগীর সংখ্যা ২১জন।
এছাড়া জেলায় মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৩৬৬৩জন। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৬৪৪জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৯জন।