তালহা জুবায়ের :
চাঁদপুরে প্রতারণা মামলায় নারীসহ ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার সকালে শহরের ওয়্যারলেস বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। চাঁদপুর সিআইডি’র উপ-পরিদর্শক আবু জাহিদ তুহিন সংঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করেন। গত ২৫ জুন মো. গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোর্টে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হাজীগঞ্জ উপজেলার মকিমাবাদ খাটরা বিলওয়াই এলাকার আব্দুল লতিফ মিয়ার পুত্র মো. হাবিবুর রহমান জীবন (৪২), তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী (৩৪), একই উপজেলার বদরপুর এলাকার মৃত মো. ভাসানীর ছেলে শাহিনুর রহমান শাহিন (৪৬) ও খাটরা বিলওয়াই এলাকার মৃত জাফর আলীর মেয়ে বিলকিস বেগম (৪০)।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, শাহরাস্তি উপজেলার মো. গিয়াস উদ্দিন (৪৫) এর স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা রয়েলী বেগম ২০২০ সালের ২০ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। স্ত্রীকে হারিয়ে পাগল প্রায় স্বামী গিয়াস উদ্দিন মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এই সুযোগে রয়েলী বেগমের ভাই হাবিবুর রহমান জীবন বোনের সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু করে।
তিনি উল্লেখিত আসামীদের সাথে নিয়ে মৃত বোনের সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য জাল মৃত্যু ও ভুয়া ওয়ারিস সনদ, পোস্ট অফিসের থেকে এডি জাল করে বোন জামাইর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করে। শুধু তাই নয়, সম্পত্তির লোভে রাহেলি বেগমের মৃত্যুর পরে জাল কাবিননামা এমনকি জাল ডিভোর্স লেটার দিয়েও প্রতারণা করেন।
এর থেকে রেহাই পেতে মৃত রয়েলী বেগমের স্বামী মো. গিয়াস উদ্দিন চাঁদপুর আদালতে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৩৬/২৯৩, সিআর ২৯৬।
আদালত মামলার তদন্তের জন্যে প্রথমে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশকে দায়িত্ব দেয় এবং পরবর্তীতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
সিআইডি’র উপ-পরিদর্শক আবু জাহিদ তুহিন বলেন, আটক আসামীদের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা রয়েছে। যার মামলা নং-৩৬। সোমবার উক্ত মামলায় অভিযুক্ত ৪ আসামিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওয়্যারলেস বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের চাঁদপুর কোর্ট পুলিশের হস্তান্তর করা হয়।
মামলার বাদী মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, শুধুমাত্র সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য আমার স্ত্রীর ভাই জীবনসহ উল্লেখিত আসামীরা আমার বিরুদ্ধে পরপর ৩টি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তারা আমার স্ত্রীর মৃত্যুর পরে অন্য একজন নারীকে আমার স্ত্রী সাজিয়ে আমাকে ডিভোর্স লেটার দেয়। এই ঘটনায় আমি তাদের বিরুদ্ধে কোর্টে প্রতারণা মামলা দায়ের করেছি। আমি ন্যায় বিচার আশা করি।