গাজী মোঃ মহসিন :
চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার বারেক এসপির বাড়ির সামনে গত ৯ জুন দুপুর ২টার দিকে মুষলধারার বৃষ্টিতে ফাঁকা রাস্তায় বোগদাদ-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চালক মোহাম্মদ লেয়াকত বেপারী গত ১০ জুন শুক্রবার সকাল ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডির একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
চালক লেয়াকত বেপারীর মৃত্যু নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার ২নং আশিকাটি ইউনিয়নের গাবতলী এলাকার মানুষ শুক্রবার সন্ধ্যার পর চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুর রশিদের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এক পর্যায়ে বোগদাদ বাস মালিক পক্ষ ও মৃত ব্যক্তির পরিবারের সাথে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি সমঝোতায় আনেন। মৃত লেয়াকত বেপারীর লাশ শনিবার বাদ ফজর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে দেশে এসে একটি পিকআপ ক্রয় করে নিজেই চালিয়ে পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে যান।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টিভেজা ফাঁকা রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কুমিল্লাগামী একটি যাত্রীবাহী বোগদাদ বাস চাঁদপুরগামী একটি সাদা রংয়ের ঢাকা মেট্রো-ঠ ১১-৮৮৭৯ নাম্বারের পিকআপকে আঘাত করে চলে যায়। পরে বাকিলায় ঘাতক বাসটিকে আটক করে স্থানীয়রা।
এদিকে পিকআপের সামনের অংশ ভেঙ্গে চালক মোহাম্মদ লেয়াকত বেপারীর পাঁ বাইরে বের হয় যাওয়ায় ভিতর থেকে বের হতে না পেরে চিৎকার করতে থাকলে আশেপাশের লোকজন সাবাল দিয়ে বহু চেষ্টার বিনিময়ে তাকে টেনে হিচড়ে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় বের করেন এবং চালকের সহযোগীসহ তাদেরকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করেন। দুর্ঘটনায় পিকআপটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।