নিজস্ব প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে রাতের আঁধারে জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনি দখল করে সাটার লাগানো হয়েছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ (ফেইসবুক) চলছে সমালোচনার ঝড়। তবে কারা জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনি দখল করেছে এ নিয়ে কেউ মুখ খুলছেনা। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর নাম শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
জানা যায়, হাজীগঞ্জ বাজারস্থ চৌরাস্তা বিশ^রোড জেলা পরিষদ যাত্রীদের সুবিধার্থে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে। যাত্রী ছাউনিটির সামনে দু’পাশেই দীর্ঘ দিন হকররা ছোট ছোট দোকান তুলে ব্যবসা করে আসছে। এটিতে রোদ-ঝড়-বৃষ্টিতে ছিন্নমূল মানুষ আশ্রয় নিতো। এ ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা এখানে বিশ্রাম নিতো। হঠাৎ করে বুধবার দিনগত গভীর রাতে যাত্রী ছাউনির দু’দিকে নতুন সাটার ছাটিয়ে এটি দখল করে নেয়া হয়।
জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনি দখল বিষয়ে ফেইসবুকে কয়েকজন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা উন্নয়ণ সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক হাজী জসিম “যাত্রী ছাউনি দখল” করেছে বলে ফেইসবুকে সয়লাব হয়।
তবে হাজী জসিম মুঠোফোনে বলেন, জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনি দখলের সাথে আমার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। এটি কে বা কারা দখল করেছে- এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তিনি বলেন, যারা ফেইসবুকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে, আমি তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করবো।
তিনি বলেন, আমি জেলা পরিষদের মাসিক সভায় সব সময় বলে আসছি হাজীগঞ্জসহ জেলার সকল যাত্রী ছাউনিগুলো দখলমুক্ত করে সেখানে যাত্রীদের ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়া হউক।
চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী বুধবার বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য ঢাকা গিয়েছিলাম। এখন ঢাকা থেকে চিকিৎসা নিয়ে চাঁদপুরে আসার পথে। হাজীগঞ্জ জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনিটি রাতের অন্ধকারে কে বা কারা দখল করেছে বলে আমি শুনেছি। আমি হাজীগঞ্জে এসে বিষয়টি দেখে জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনিটি জনগণের জন্য উন্মুক্তক করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো। যারা অন্যায়ভাবে এসব অপরাধ করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।