কচুয়ার বরখাস্তকৃত উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির কারাগারে

আল ইমরান শোভন/শাওন পাটওয়ারী :
চাঁদপুরস্থ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুরে আলমকে ঘুষি, চর, থাপ্পর মারা এবং বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কচুয়া উপজেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারমান শাহজাহান শিশির স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পন করতে আসলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশে। আদালতের নির্দেশে তাকে দুপুরেই কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত অপর মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসেন এই নির্দেশ দেন।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. হেলাল উদ্দিন, অ্যাড. লতিফ শেখ, অ্যাড. আমান উল্যা এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ, অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, অ্যাড. আহসান হাবিব।

অ্যাড. হেলাল জানান, গত ১৯ জুলাই দুপুরে কচুয়া উপজেলা পরিষদ এলাকায় ‘কচুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সহযোগিদের মারধরের শিকার হন প্রকৌশলী নুরে আলম। এই ঘটনায় ওইদিন রাতেই নুরে আলম বাদী হয়ে কচুয়া থানায় চেয়ারম্যানসহ আরো দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এই ঘটনায় গত ২৩ জুলাই স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার স্থলে প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতানা খানমকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।

এদিকে প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয় স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে। নির্দেশ অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার ঘটনাটি তদন্ত করেন। বর্তমানে তদন্ত প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার বিভাগে দাখিলের অপেক্ষায় রয়েছে।

অপরদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত অপর মামলার শুনানী শেষে জামিন নামঞ্জুর করে চেয়ারম্যান শাজাহান শিশিরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। সিনিয়র জুডিশিয়িাল ম্যাজিস্টেট সফিউল আজমের আদালতে এই শুনানী অনুষ্ঠিত হয়।

অ্যাড. ইয়াসিন আরাফাত জানান, চাঁদপুর পৌরসভার বিটি রোড এলাকার বাসিন্দা মো. রকিবুল ইসলাম স্বাধীন বাদী হয়ে গত ২২ জুন চাঁদপুর মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় চেয়ারম্যান শাজাহান শিশিরের বিরুদ্ধে জাতির পিতার নামে প্রপাগান্ডা এবং মতামত প্রদান এবং ফেসবুকে মানহানিকর তথ্য প্রকাশের অভিযোগ আনা হয়।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)