জাতিসংঘে কমিউনিটি ক্লিনিক ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সাইড ইভেন্ট আয়োজন করেছে বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মসূচি নিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের প্রেস ব্রিফিং

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের প্রায় দেড় শতাধিক রাষ্ট্রপ্রধান/সরকারপ্রধান যোগ দিচ্ছেন। এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম এ মুহিত। এ সময় মিশনের ডেপুটি প্রধান তৌফিক ইসলাম শাতিল উপস্থিত ছিলেন।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে ১৫ সেপ্টেম্বর আয়োজিত এই প্রেস কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘ সফরের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত এম এ মুহিত বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন।

তিনি জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এমপি, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক এমপি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হচ্ছেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের (ইউএনজিএ৭৮) এবারের প্রতিপাদ্য ‘রিবিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড রিইগনিটিং গ্লোবাল সলিডারিটি : অ্যাক্সিলারেটিং অ্যাকশন অন দ্য ২০৩০ এজেন্ডা অ্যান্ড ইটস সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস টুওয়ার্ডস পিস, প্রসপারিটি, প্রোগ্রেস অ্যান্ড দ্য সাসটেইনেবিলিটি ফর অল’।

রাষ্ট্রদূত এম এ মুহিত বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাস পুনর্গঠন এবং বিশ্বব্যাপী সংহতি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয় এবারের অধিবেশনে গুরত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। বৈশ্বিক শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জন সংক্রান্ত আলোচনা এবারের অধিবেশনে বিশেষ প্রাধান্য পাবে।

অন্যান্য বছরের মতো এবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ পরিষদের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য প্রদান করবেন। জাতিসংঘের সর্বশেষ শিডিউল অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে বক্তব্য প্রদান করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রদূত এম এ মুহিত।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যখাতে সাফল্য ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করবেন। পাশাপাশি, বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক সংকট, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত বিষয়সমূহ তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসঘের ৫টি উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণ করবেন। আগামী ১৮-১৯ সেপ্টেম্বর এসডিজি সামিট ২০২৩ অনুষ্ঠিত হবে। দুই দিনব্যাপী এই সভায় জাতিসংঘ উন্নয়ন অভিষ্ট লক্ষ্যসমূহ অর্জনের অগ্রগতি, প্রতিবন্ধকতাসমূহ এবং এই প্রতিবন্ধকতাসমূহের উত্তরণ ঘটিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে কিভাবে লক্ষ্যসমূহ অর্জন করা যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এই সামিটের অধীনে বিভিন্ন থিমের ওপর ৪টি “লিডার্স ডায়ালগ” অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী ১৮ সেপ্টেম্বর ‘লিডার্স ডায়ালগ-৪’ এ বক্তব্য রাখবেন। ‘লিডার্স ডায়ালগ-৪’ এর বিষয় হল “এসডিজি অর্জনের জন্য সমন্বিত নীতি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা”।

২০ সেপ্টেম্বরে মহামারী প্রতিরোধ, প্রস্তুতি এবং প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সভার প্লেনারি সেশনে বক্তব্য দিবেন। একই দিন নারী নেতাদের জন্য ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্মের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভাটি প্রতিবছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি বিশ্বের নারী নেতৃবৃন্দের সম্মানে আহ্বান করে থাকেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে অংশগ্রহণ করবেন।

এছাড়া ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিবের আহবানে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ‘জলবায়ু উচ্চাকাঙ্ক্ষা শীর্ষ সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হবে। এই সামিটের উচ্চ স্তরের বিষয়ভিত্তিক “জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রদান : অভিযোজন এবং সকলের জন্য প্রাথমিক সতর্কবার্তার উপর উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করা” শীর্ষক অধিবেশনে বক্তব্য দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২১ সেপ্টেম্বর সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের উপর উচ্চ স্তরের ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এই সভার প্লেনারি সেশনে বক্তব্য দিবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন স্বাস্থ্যবান্ধব নীতি এবং জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনসমূহ তুলে ধরবেন তিনি।

এই ৫টি সভার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানদের আহ্বানে ৪টি উচ্চ সভায় অংশগ্রহণ করবেন। এর মধ্যে জলবায়ু সুংক্রান্ত ২টি বৈঠক ‘জলবায়ু গতিশীলতার উপর উচ্চ-স্তরের ব্রেকফাস্ট সামিট এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট অস্তিত্বের হুমকি মোকাবেলায় উচ্চ-স্তরের ব্রেকফাস্ট সামিট’ এবং ইউনাইটেড নেশনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইউনিডো)-এর আয়োজনে এসডিজিকে ত্বরান্বিত করতে খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খল উদ্ভাবনের জন্য খাদ্যের জন্য চিন্তা-সহযোগিতার বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া স্পেনের প্রধানমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের আহবানে “একটি ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচারের দিকে” উচ্চ স্তরের গোলটেবিলে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রদূত এম এ মুহিত জানান, সাধারণ পরিষদে বিভিন্ন দেশ তাদের নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের সভা আহ্বান করে থাকে। প্রতিবছরের মতো বাংলাদেশও এ বছর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২টি উচ্চ স্তরের সাইড ইভেন্ট আয়োজন করেছে এবং এই ইভেন্ট দুইটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠান ২টির প্রথমটি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের সভা যা অনুষ্ঠিত হবে ১৯ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশের এই সভাটি অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা, ভুটান, চীন, মালয়েশিয়া, চাথাম হাউস, যুক্তরাজ্য এবং সূচনা ফাউন্ডেশন কো-স্পন্সর করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের সকল মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে বাংলাদেশ যে যুগান্তকারী সফলতা অর্জন করেছে, এই সভাতে তা তুলে ধরা হবে।

দ্বিতীয়টি ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা সংকট সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের সভার আয়োজন করা হয়েছে। এই সভাটির সহ-আয়োজক হিসেবে রয়েছে কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যার ষষ্ঠ বছরে পদার্পণ করেছে। কিন্তু এ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিকভাবে গৃহীত পদক্ষেপ আশানুরূপ কোন সমাধান দিতে পারেনি। বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন এক নম্বর অগ্রাধিকার ইস্যু। এই বক্তব্যই আবারও বিশ্ববাসীর কাছে পৌছে দিতে এই সাইড ইভেন্ট আয়োজন করা হয়েছে।

উপরোক্ত সভায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘ মহাসচিব এবং বেশ কয়েকটি দেশ ও সংস্থার প্রধানরা দিপাক্ষিক সভা করবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০ সেপ্টেম্বর একটি মহাসাগর শাসন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করবেন, যা সংক্ষেপে বিবিএনজি চুক্তি বলা হয়ে থাকে। জাতিসংঘ সদর দপ্তর এই চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য সাধারণ পরিষদের লবি এলাকাকে স্থান হিসেবে নির্ধারিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমন্ত্রণে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন। এছাড়া জার্মানির চ্যাঞ্চেলরের আহ্বানে জাতিসংঘে জার্মানির সদস্যপদ লাভের ৫০তম বার্ষিকী সংক্রান্ত একটি অভ্যর্থনায় অংশগ্রহণ করবেন বলে রাষ্ট্রদূত এম এ মুহিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘ সফরের সময় বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেয়ার পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এমপি টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট, জলবায়ু পরিবর্তন, এলডিসি, এসিডি, ওআইসি, ন্যাম, বিমসটেক, জি-৭৭ বিষয়ক বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণ করবেন। হাঙ্গেরি এবং কাজাখাস্তান-এর সাথে ২টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

এর বাইরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী/অন্যান্য মন্ত্রীদের সাথে দ্বিপাক্ষিক সভায় মিলিত হবেন। এর মধ্যে ঘানা, অস্ট্রেলিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং নেদারল্যান্ডস-এর বৈদেশিক বাণিজ্য এবং উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী অন্যতম।

রাষ্ট্রদূত এম এ মুহিত বলেন, এবারের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের মূল বিষয়গুলো বাংলাদেশের জন্যখুবই জরুরী। বিশেষ করে যুদ্ধ-বিগ্রহ পরিহার করে চলমান খাদ্য ও জ্বালানি সংকট নিরসন, আর্থিক অনিশ্চয়তা মোকাবেলা করার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা, বিশ্বশান্তি, বহুপাক্ষিকতাবাদ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর বৈশ্বিক উদ্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট লক্ষ্যসমূহ অর্জন প্রভৃতি বিষয়ে এবারের সাধারণ অধিবেশনে গুরুত্বের সাথে আলোচনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এছাড়া অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা এবং এর স্থায়ী ও টেকসই সমাধান এর বিষয়টিও ব্যাপকভাবে আলোচিত হবে, যা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে সহায়ক হবে।

জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান যেমন সুদৃঢ় করবে, তেমনি বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরো প্রসারিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত এম এ মুহিত। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন রাষ্ট্রদূত এম এ মুহিত এবং সবশেষে রাতের খাবারে আমন্ত্রণ জানান।

শেয়ার করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)