আজ ২৮ আগস্ট ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ও বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক কর্মাধ্যক্ষ মরহুম এম এ ওয়াদুদ ১৯২৫ এর ১ আগস্ট চাঁদপুর জেলার রাঢ়ির চর গ্রামে জন্মগধহণ করেন।
এম. এ. ওয়াদুদ গণতান্ত্রিক যুবলীগ (১৯৪৮), পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ (১৯৪৮) ও কেন্দধীয় কচিকাঁচার মেলার (১৯৫৬) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। মরহুম এম এ ওয়াদুদ পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (১৯৪৯), সাপ্তাহিক ইত্তেফাক (১৯৪৯) ও দৈনিক ইত্তেফাক (১৯৫৩) প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
এম. এ. ওয়াদুদ ১৯৫৩-৫৪ সালে পধাদেশিক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দুইবার নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১ (এক) বার পধাদেশিক ছাত্রলীগের সহ সম্পাদকের দায়িত্বও তিনি নিষ্ঠা ও সাফল্যের সাথে পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে ১৯৪৮ সালে একবার এবং ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি থেকে ২০শে আগস্ট পর্যন্ত দ্বিতীয়বার কারাবরণ করেন। ১৯৫৪ সালে ৯২(ক) ধারা জারী করে যুক্তফ্রন্ট সরকারকে বরখাস্ত করার পর ছাত্র আন্দোলনকে স্তিমিত করার জন্য পুনরায় এম. এ. ওয়াদুদকে কারারুদ্ধ করা হয়। ১৯৪৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে তৎকালীন শাসকদের রুদ্ধরোষের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপন করতে তিনি বাধ্য হন। ১৯৪৯ সালে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে বঙ্গবন্ধুসহ এম. এ. ওয়াদুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত হন।
১৯৭৮ সালে সামরিক সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে মন্ত্রীত্ব গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য তিন বার বিভিন্ন মেয়াদে এম. এ. ওয়াদুদ কারাবরণ করেন। সামরিক শাসনের সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে বারবার মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হয়।
এম. এ. ওয়াদুদ ১৯৪৭ এর দেশবিভাগের পর থেকে ১৯৭১ পেরিয়ে ১৯৮৩ এর ২৮শে আগস্টে মৃত্যুবরণের পূর্ব পর্যন্তবা১⁄২ালীর ভাষা, স্বাধীকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির সকল আন্দোলনের সাথে ওতপেধাতভাবে জড়িত ছিলেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক, চাঁদপুর-৩ নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক পররাষ্টধ মন্ত্রী (২০০৯-২০১৩), চিকিৎসক, আইনজীবী ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. দীপু মনি তাঁর একমাত্র কন্যা এবং চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, ডায়াবেটিক ফুট সার্জারীতে দেশের একমাত্র বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎসক ডাঃ জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ (টিপু) তাঁর একমাত্র পুত্র।