কবির হোসেন মিজি/শাওন পাটওয়ারী :
চাঁদপুরে টয়লেট থেকে মিতু বেগম নামে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী অপু, শাশুড়ি পারভীন ও ননদ রুমিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
সোমবার বিকেলে চাঁদপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাটওয়ারী পুল এলাকার ভূইঁয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে লাশটি দেখে স্থানীয়রা রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেন।
গৃহবধূ মিতু বেগম ভূইঁয়া বাড়ির অপু ভূইঁয়ার স্ত্রী ও সদর উপজেলার বালিয়া ইউপির উত্তর বালিয়ার হাফেজ খানের মেয়ে।
খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুল রশিদ, পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সোহেল রানা, এএসআই মোর্শেদ ও মো. আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন একনজর দেখার জন্য বাড়ির পাশে ভিড় করেন।
স্থানীয়রা জানান, ‘টয়লেটের জানালা (ফ্যান লাইট) এর সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেওয়া সম্ভব নয়। লাশটির অর্ধেক শরীর টয়লেটের মেঝেতে ঝুলানো অবস্থায় রয়েছে। লাশটি দেখে মনে হয় কেউ তাকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে।’
গৃহবধূর চাচা আলম খান জানান, সাড়ে ৩ মাস আগে অপুর বিয়ে হয় ঢাকা উত্তরায় মিতুর খালার বাড়িতে।
গৃহবধূর স্বামী অপু জানান, চাকরির সুবাদে ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় কাজে ছিলাম। হঠাৎ বাড়ি থেকে ফোন আসে মিতু ফাঁসি দিয়েছে। তা শুনে সঙ্গে কাজ ফেলে রেখে বাড়িতে চলে আসি।
নিহত গৃহবধূর বাবা হাফেজ খান জানান, ‘কেউ যদি আমার মেয়েরে মাইরা থাকে, তাহলে তার হত্যার বিচার চাই।’
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, সুরতহাল করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।