বাগানবাড়ি ও ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে সাবেক মন্ত্রী মায়া চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ ত্রাণ বিতরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মতলব উত্তরের বাগানবাড়ি ও ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে সাবেক ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রমের পরিবারের পক্ষ থেকে অসহায়/কর্মহীন মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার বাগানবাড়ি ও ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে ৮ শতাধিক অসহায়/কর্মহীন মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সাসমগ্রী বিতরণ করা হয়।
সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম ও তার পরিবারের পক্ষে বিতরণ কার্য পরিচালনা করেন বাগানবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নান্নু মিয়া ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া বাবু।
এ সময় উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কামাল জমাদার, বাগানবাড়ি ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য আঃ ছামাদ ছন্দু মেম্বার, ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহীদ উল্লাহ সরকার, খোরশেদ আলম, ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি চাঁন মিয়া, বাগানবাড়ি ইউপি সদসন্য মিলন, নজরুল ইসলাম, জহির উদ্দিন, মোঃ ফারুক হোসেন, দুলাল হোসেন ও জসিম মেম্বারসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ছোলা ও ১টি সাবান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জহিরাবাদ ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা মোঃ জালাল উদ্দিন, মুকবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে জানানো হয়। গতকাল বাগানবাড়ি ইউনিয়নে ইউনিয়নে ৪০০ পরিবার এবং ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের ৪০০ পরিবারকে সামগ্রী দেওয়া হয়। মোট ৮০০ পরিবারের মধ্যে তৃতীয় দিন সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় মুঠোফোনে সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম এ সময় উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, করোনায় ভয় নেই, সচেতন হয়ে জীবনযাপন করুন, সুখে-দুঃখে আমি আপনাদের পাশে আছি। জনগণ থেকে কেউ আমাকে কেউ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। সারা জীবন মতলবের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। বাকী জীবনেও আমি এবং আমার পরিবার মতলবের মানুষের সুখে, দুঃখে পাশে থাকবে ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অনেক ভালোবাসেন। করোনা সংক্রমণে লকডাউনের কারণে সব কিছু স্থবির হয়েছে। অনেক মানুষ কর্মহীন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পযন্ত সারা দেশে চার কোটির অধিক কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে থাকেন দরিদ্র মানুষদের কোনো দল নেই। তাই তার নির্দেশেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বস্তরের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বের কারণে আজ কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে যে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের নেতা-কর্মীরা জনগণের পাশে নেই। তারা শুধু বক্তৃতা-বিবৃতির মধ্যেই আছেন। ঘর থেকে তারা কেউ বের হন না। প্রানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমি চাঁদপুরের মতলব উত্তর-দক্ষিণ উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ১০ হাজার নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি।
উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনগণকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে মায়া চৌধুরী বলেন, দেশে একটি সংকটকাল অতিবাহিত হচ্ছে। তবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে মানুষ গৃহবন্দি জীবন-যাপন করলেও বর্তমান সরকার অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে খাদ্য সহায়তা। এ সরকারের আমলে একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না।
উল্লেখ্য, মায়া চৌধুরী সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এর পক্ষ থেকে চাঁদপুর-২ আসন (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) উপজেলায় সকল ইউনিয়ন এবং পৌরসভার ১০ হাজার অসহায়, কর্মহীন মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর রমজানের উপহার বিতরণের দ্বিতীয় ধাপের কার্যক্রম চলছে। যা গত ৯ মে মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ও কলাকান্দা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। রোববার এখলাছপুর ও জহিরাবাদ ইউনিয়নে চলে দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম।
এছাড়া সোমবার সকালে ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের ছোটহলদিয়ায় ও ৯৭নং ফরাজীকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৫৫০ পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণকার্য পরিচালনা করেন ফরাজীকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশ ও মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য আহমেদ চৌধুরী।
এ সময় উপজেলা যুবলীগের সদস্য মোশারফ হোসেন মন্টু, ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কবির হোসেন, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান, জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ. বাতেন প্রধান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজ হাওলাদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য হেলাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য আ. হালিম সরকার, নাছির হোসেন মুন্সি, ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পলাশ দেওয়ান, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ হাশেম, শাহজাহান প্রধান, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নোমান দেওয়ান, সদস্য তাহসিন আহমেদ, ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা, শফিক, বিল্লাল হোসেন বুলেট, জনি, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ছদরুল আমিনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।