চাঁদপুরে মিষ্টি ও আইসক্রিমের জন্য বিখ্যাত ‘ওয়ান মিনিট’

আল ইমরান শোভন/শরীফুল ইসলাম :
ওয়ান মিনিট। মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। সুপ্রাচীণকালে শুরু হওয়া ঐতিহ্যবাহী এই দোকানটি আজও তার খ্যাতি ধরে রেখেছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিনিয়ত লোকজন এসে ভিড় জমায় পছন্দের মিষ্টির জন্য। কোনো সুখবর, বিয়ের অনুষ্ঠান, ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন, পরীক্ষার ফলাফলে কৃতিত্ব অর্জনকে কেন্দ্র করে মিষ্টির দোকানগুলোতে হরহামেশা ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সেসব দিনে ওয়ান মিনিটের মিষ্টি পাওয়া ভাগ্যের বিষয়!

‘ওয়ান মিনিট’ নামে খ্যাত চাঁদপুরের এই ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানে কোনো বিশেষ দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। বছরের প্রতিটি দিনই মিষ্টিবিলাসীদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায় এখানে। শুধুই কি মিষ্টি! পাশাপাশি গরুর খাঁটি দুধ দিয়ে তৈরি আইসক্রিম খেতেও ক্রেতারা ভিড় জমান এখানে।

চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র কালীবাড়ি এলাকা সংলগ্ন প্রেসক্লাব সড়কে ‘ওয়ান মিনিট’ নামের মিষ্টান্ন ভান্ডারের অবস্থান। ১৯৬৩ সালের দিকে পূর্বপুরুষের হাত ধরে শুরু হওয়া প্রতিষ্ঠানটি স্বগৌরবে চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান কর্ণধাররা।

ওয়ান মিনিটে আসা ক্রেতারা জানায়, চাঁদপুরে ওয়ান মিনিটের মিষ্টি এবং আইসক্রিমের সুনাম রয়েছে। উৎসব কিংবা বন্ধু-বান্ধব আসলে এখানকার মিষ্টি ও আইসক্রিম দিয়ে আপ্যায়ন করানোর রেওয়াজ রয়েছে। ওয়ান মিনিটের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে কোন বাসি (পুরনো) মিষ্টি বিক্রি হয় না।

গরুর খাঁটি দুধ দিয়ে টাটকা মিষ্টি ও আইসক্রিম বিক্রি হয়। এ জন্য চাঁদপুরের অন্য সব মিষ্টির দোকান থেকে ওয়ান মিনিট ব্যতিক্রম। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এখানে গরম মিষ্টি খেতে ভিড় জমে যায়

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সম্পদ সাহা জানালেন, শুরুর দিকে হাড়িতে করে মিষ্টি কেনা-বেচা হতো। সময়ের ব্যবধানে মিষ্টি এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে বিদেশ থেকে আসা কিংবা শ্বশুর বাড়ি বা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় মানুষ তখন হাড়িতে করে মিষ্টি নিয়ে যেত।

রসগোল্লা, চমচম, লাল মোহন, কালোজ্যাম, সন্দেশ, রসমালাই, ক্ষির, মিষ্টি দধি, টক দধি, লাড্ডু, নিমকি, আইসক্রিমসহ নানা ধরনের মিষ্টান্ন সামগ্রীর জন্য খ্যাতি রয়েছে ‘ওয়ান মিনিট’র। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী গরুর খাঁটি দুধ দিয়ে মিষ্টি তৈরি করা হয়। এখানে অতিরিক্ত কোনো মিষ্টি তৈরি করা হয় না। ক্রেতারা যাতে সব সময় মিষ্টি খেয়ে তৃপ্তি পান, এ জন্য প্রতিদিনের তৈরি মিষ্টি প্রতিদিনই বিক্রি হয়ে যায় বলে জানালেন কারিগড়রা।

মিষ্টির পাশাপাশি ক্রেতাদের চাহিদার কথা চিন্তা করে খাঁটি দুধ দিয়ে আধুনিক মেশিনের সাহায্যে এখানে তৈরি হচ্ছে আইসক্রিমও। লোভনীয় এই আইসক্রিমেরও রয়েছে বেশ চাহিদা। বিভিন্ন বয়সী ক্রেতারা আইসক্রিম খেতে ভিড় জমাচ্ছে ‘ওয়ান মিনিট’ খ্যাত এই দোকানটিতে।

শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

০১৭১৬৫১৯৫৪১ (বার্তা বিভাগ)